গান্ধীনগরে গরবা উৎসবে হিংসা: অনলাইন পোস্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আটক ৫০

গান্ধীনগরে গরবা উৎসবে হিংসা: অনলাইন পোস্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আটক ৫০

গুজরাটের গান্ধীনগরে গরবা উৎসব চলাকালীন একটি অনলাইন পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে। পাথর ছোঁড়া এবং অগ্নিসংযোগের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহন ও দোকানের ক্ষতি হয়েছে, পুলিশ ৫০ জনকে আটক করেছে।

গান্ধীনগর: গুজরাটের গান্ধীনগর জেলার বাহিয়াল গ্রামে গরবা উৎসব চলাকালীন একটি অনলাইন পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে। এই সময় পাথর ছোঁড়া হয়, এবং বেশ কয়েকটি যানবাহন ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

অনলাইন পোস্ট থেকে বিতর্কের সূত্রপাত

পুলিশের মতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত হয়। একটি সম্প্রদায়ের এক যুবক তার পোস্টে লিখেছিল যে "#iLoveMuhammad" এর পরিবর্তে "#ILoveMahadev" লেখা উচিত। এই পোস্ট দেখে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং ওই যুবকের চায়ের দোকানে হামলা চালায়।

সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে পাশেই চলা গরবা অনুষ্ঠানকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। পাথর ছোঁড়া এবং ধাক্কাধাক্কির কারণে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই পোস্টটি একটি ছোট বিবাদকে একটি বড় সংঘর্ষে পরিণত করে।

ঘটনাস্থলে ব্যাপক সহিংসতা

বুধবার গভীর রাতে সানসিটি কলোনিতে এই সংঘর্ষ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ভিড় দোকানপাট ভাঙচুর করে এবং কিছু দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আটটিরও বেশি গাড়ির ক্ষতি করা হয়। সহিংসতার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে লোকেরা একে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়ছে এবং লাঠি দিয়ে হামলা করছে।

ভিডিওতে একজন মহিলাকে আতঙ্কিত অবস্থায় তার বাচ্চাদের ডাকতে দেখা যায়। জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় এবং যারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিল তাদেরও হুমকি দেয়। পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল, যার ফলে পুলিশকে কঠোর হস্তক্ষেপ করতে হয়।

ভিড় পুলিশের উপর হামলা করে 

স্থানীয় পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান, কিন্তু জনতা তাদেরও লক্ষ্যবস্তু করে। সংঘর্ষের সময় দুটি পুলিশ যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক বাহিনী মোতায়েন করে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এলাকায় পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

পুলিশ জানিয়েছে যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তারা বাসিন্দাদের প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ধরনের পোস্ট না করার এবং তদন্তে সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছে। পুলিশের দলগুলি এখনও সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a comment