গৌহর খানের ওজন কমানোর রহস্য: ১০ দিনে ১০ কেজি!

গৌহর খানের ওজন কমানোর রহস্য: ১০ দিনে ১০ কেজি!

অভিনেত্রী গৌহর খান আজকাল তাঁর দ্বিতীয় গর্ভাবস্থা নিয়ে খুব আলোচনায় রয়েছেন। তিনি শীঘ্রই তাঁর দ্বিতীয় সন্তানকে স্বাগত জানাতে চলেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এই বিশেষ সময় নিয়ে গৌহর খুবই খোলামেলা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত কথা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

এন্টারটেইনমেন্ট: মা হওয়ার পরে প্রতিটি মহিলার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ডেলিভারির পরে বেড়ে যাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। যেখানে অনেক মহিলার ওজন কমাতে কয়েক মাস লেগে যায়, সেখানে বলিউডের সুন্দরী এবং প্রতিভাবান অভিনেত্রী গৌহর খান (Gauahar Khan) এটি করে দেখিয়েছেন মাত্র ১০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমিয়ে। 

তিনি তাঁর ট্রান্সফরমেশন দিয়ে শুধু ফ্যানদেরকেই চমকে দেননি, বরং সেই মহিলাদের জন্যেও একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন যাঁরা ডেলিভারির পরে ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত থাকেন।

প্রথম ডেলিভারির পরেই দেখিয়েছেন কামাল

গৌহর খান ২০২৩ সালে তাঁর প্রথম পুত্র জেহানকে জন্ম দিয়েছিলেন। গর্ভাবস্থায় তাঁর ওজন বেশ বেড়ে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি হার মানেননি। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গৌহর নিজেকে ট্রান্সফর্ম করে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে ইচ্ছাশক্তি এবং শৃঙ্খলা দিয়ে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। গৌহর সম্প্রতি অভিনেত্রী দেবলীনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পডকাস্টে তাঁর ওজন কমানোর জার্নি সম্পর্কে মন খুলে কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি কোন সরল কিন্তু কার্যকরী উপায়ে ওজন কমিয়েছেন।

গৌহর খানের ‘ম্যাজিক ডায়েট’-এর রহস্য

গৌহর খান জানিয়েছেন যে তিনি কোনো দামি জিম বা ডায়েট প্ল্যান গ্রহণ করেননি। তাঁর ওজন কমানোর পুরো ফোকাস ছিল সাদাসিধে, স্বাস্থ্যকর এবং ঘরে তৈরি খাবার।

তিনি বলেন:

‘আমি নন-ভেজ সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দিয়েছিলাম। মাটন আমার ফেভারিট ছিল, কিন্তু আমি সেটা স্পর্শও করিনি। আমি শুধু সবুজ শাকসবজি, স্যুপ এবং স্যালাড খেতাম।’

গৌহরের মতে, তিনি তাঁর খাবারের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলেন। তিনি ভাজাভুজি এবং ভারী খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে শরীরকে ডিটক্স করেছিলেন এবং কোনো দামি নিউট্রিশনিস্টের গাইডেন্স ছাড়াই ওজন কমিয়েছিলেন।

নো ক্র্যাশ ডায়েট, শুধু ডিসিপ্লিন

গৌহর এও জানিয়েছেন যে তিনি কোনো ক্র্যাশ ডায়েট গ্রহণ করেননি, বরং শুধু প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের ব্যালেন্স বজায় রেখেছিলেন। তিনি ক্ষুধার্ত থাকার পরিবর্তে স্মার্ট ইটিংকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস ওজন কমানোর জন্য উপোস থাকা জরুরি নয়, বরং জরুরি হল সঠিক খাবার এবং সঠিক সময়ে খাওয়া।

গৌহর খান তাঁর ছেলেকে ৬ মাস পর্যন্ত ব্রেস্টফিড করিয়েছেন, এবং সেই সাথে ফর্মুলা মিল্কও দিয়েছেন। তিনি এই সময়কালে নিজেরও যত্ন নিয়েছেন এবং পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করে শরীরকে ফিট রেখেছেন। তিনি জানান, মা হওয়ার পরে তিনি অনুভব করেছেন যে সুস্থ মা-ই সুস্থ সন্তানের প্রথম প্রয়োজন। গৌহর তাঁর সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ের উপরও জোর দিয়েছেন যে তাঁর মাথায় একটাই জিনিস ছিল — "আমাকে আবার স্ক্রিনে ফিরে আসতে হবে।" এই মোটিভেশন তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তিতে পরিণত হয়েছিল।

Leave a comment