গয়া জেলার টিকারি বিধানসভা কেন্দ্রে হাম বিধায়ক অনিল কুমারের কনভয়ে গ্রামবাসীরা হামলা চালায়। নর্দমা নির্মাণ নিয়ে এই পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় বিধায়ক আহত হয়েছেন, অন্যদিকে পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে।
গয়া: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে গয়া জেলার টিকারি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে একটি উদ্বেগজনক ঘটনা সামনে এসেছে। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হাম) প্রার্থী এবং বর্তমান বিধায়ক অনিল কুমারের উপর দিঘৌরা গ্রামে জনসংযোগ অভিযানের সময় গ্রামবাসীরা পাথর ছুঁড়ে মারে। এই হামলায় বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন, এবং ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
জনসংযোগ অভিযানের সময় বিধায়কের উপর হামলা
তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিধায়ক অনিল কুমার তাঁর নির্বাচনী এলাকা টিকরির দিঘৌরা গ্রামে জনসংযোগের জন্য পৌঁছেছিলেন। যেই তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেন, কিছু গ্রামবাসী নর্দমা এবং রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দেখতে দেখতে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় এবং ভিড় বিধায়কের কনভয়ে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করে।
হামলায় বেশ কয়েকটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় এবং বিধায়কের মাথা ও হাতে আঘাত লাগে। নিরাপত্তা কর্মীরা দ্রুত তাঁকে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। এসময় বেশ কয়েকজন কর্মীও আহত হন, যাঁদেরকে কাছের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সহিংসতার অভিযোগে নয়জন গ্রেফতার

ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডিএম শশাঙ্ক শুভঙ্কর এবং এসএসপি আনন্দ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁরা পুরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ৯ জন গ্রামবাসীকে আটক করেছে, অন্যদিকে অন্যদের খোঁজ চলছে।
পঞ্চানপুর থানায় এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, দোষীদের শনাক্ত করার জন্য আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থানীয় ভিডিও ক্লিপগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে যে আইন হাতে নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উন্নয়নমূলক কাজে বিলম্বের কারণে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ
দিঘৌরা গ্রামের গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে নর্দমা এবং রাস্তা নির্মাণ কাজের দাবি জানাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ যে, একাধিকবার আবেদন করা এবং অভিযোগ জানানোর পরেও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই অসন্তোষের মধ্যেই যখন বিধায়ক নির্বাচনী প্রচারের জন্য পৌঁছান, তখন গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
স্থানীয়দের বক্তব্য, এলাকায় জলজমাট এবং আবর্জনার সমস্যা বছরের পর বছর ধরে বিদ্যমান। আবার কিছু লোক মনে করেন যে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেও পরিস্থিতিকে উস্কে দেওয়া হয়েছে।












