গুগল তার AI Studio প্ল্যাটফর্মে নতুন Vibe Coding ফিচার চালু করেছে, যার মাধ্যমে এখন কোডিং দক্ষতা ছাড়াই শুধুমাত্র টেক্সট লিখে AI অ্যাপ তৈরি করা যাবে। এই ফিচারের সাথে কোম্পানি Veo 3 ভিডিও মডেল এবং Nano Banana ইমেজ এডিটিং মডেলও উন্মোচন করেছে, যা ডেভেলপারদের টেক্সট, ইমেজ এবং ভিডিও ভিত্তিক মাল্টিমডেল অ্যাপস তৈরি করার সুবিধা দেবে।
Google AI Vibe Coding ফিচার: প্রযুক্তি সংস্থা গুগল তার AI Studio প্ল্যাটফর্মে একটি যুগান্তকারী আপডেট প্রকাশ করেছে, যার অধীনে এখন ডেভেলপারদের অ্যাপ তৈরির জন্য কোডিংয়ের প্রয়োজন হবে না। নতুন Vibe Coding ফিচার ডেভেলপারদের শুধুমাত্র টেক্সট প্রম্পট লিখে AI অ্যাপ তৈরি করার সুবিধা দেয়। এর পাশাপাশি, কোম্পানি Veo 3 এবং Nano Banana মডেলও চালু করেছে, যা ভিডিও এবং ইমেজ এডিটিংয়ের জন্য সহায়ক হবে। গুগলের এই পদক্ষেপ AI অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়াকে আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ এবং দ্রুত করে তুলবে।
Vibe Coding কী এবং কীভাবে কাজ করবে
Vibe Coding হল গুগলের নতুন AI-সহায়ক কোডিং ফিচার, যা প্রাকৃতিক ভাষা বুঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোড তৈরি করে। ডেভেলপারকে শুধুমাত্র তার অ্যাপের ধারণা বা ফাংশন বলতে হয়, এবং বাকি কাজ AI সামলে নেয়। এই প্রক্রিয়ায় ডেভেলপার একটি “গাইড” এর ভূমিকা পালন করে, যখন পুরো কোডিং কাঠামো AI তৈরি করে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফিচার অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে পারে, কারণ এটি ডেভেলপমেন্টকে শুধু দ্রুতই নয়, সহজও করে তুলবে।
AI Studio-তে যুক্ত হলো Veo 3 এবং Nano Banana মডেল
গুগল Vibe Coding-এর সাথে আরও দুটি নতুন মডেল চালু করেছে – Veo 3 এবং Nano Banana।
Veo 3 একটি উন্নত ভিডিও জেনারেশন মডেল, যা টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে Nano Banana একটি ইমেজ এডিটিং মডেল, যা অ্যাপসে ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট তৈরি ও এডিট করার সুবিধা দেয়। এই দুটি মডেলের সাহায্যে ডেভেলপাররা এখন মাল্টিমডেল অ্যাপসও তৈরি করতে পারবে, যেগুলিতে টেক্সট, ইমেজ এবং ভিডিও তিনটিরই সংমিশ্রণ থাকবে।

‘I’m Feeling Lucky’ বাটন থেকে মিলবে নতুন অ্যাপ আইডিয়া
Google AI Studio-এর ইন্টারফেস এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ করা হয়েছে। ডেভেলপাররা এখানে শুধু তাদের আইডিয়া টাইপ করে, এবং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সঠিক মডেল ও API-এর সাথে সংযুক্ত হয়ে অ্যাপ তৈরি করে দেয়।
গুগল এতে একটি বিশেষ ফিচার “I’m Feeling Lucky” বাটন যুক্ত করেছে, যা ব্যবহারকারীকে র্যান্ডম অ্যাপ আইডিয়া তৈরি করে দেয়। এর ফলে ডেভেলপাররা নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রোজেক্টের জন্য অনুপ্রেরণা পায়। এছাড়াও, নতুন App Gallery সেকশনও যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে রেডিমেড অ্যাপস, শেখার প্রোজেক্টস এবং রিমিক্স করার বিকল্পগুলি উপলব্ধ।
ডেভেলপারদের জন্য ফ্রি কোটা এবং সহজ API ইন্টিগ্রেশন
গুগল ডেভেলপারদের প্রাথমিকভাবে ফ্রি ইউসেজ কোটা দেওয়ার ঘোষণা করেছে, যাতে নতুন ব্যবহারকারীরা কোনো খরচ ছাড়াই তাদের প্রথম অ্যাপ তৈরি করতে পারে। যদি কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে ডেভেলপাররা তাদের API key যোগ করে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট চালিয়ে যেতে পারবে।
এই পদক্ষেপের সুবিধা বিশেষভাবে শিক্ষার্থী, ইন্ডি ডেভেলপার এবং স্টার্টআপগুলি পাবে, যাদের ব্যয়বহুল কোডিং অবকাঠামোর প্রয়োজন হবে না।
AI ডেভেলপমেন্টের নতুন যুগ
Vibe Coding ফিচারের মাধ্যমে গুগল AI ডেভেলপমেন্টের জগতে একটি নতুন দিক দেখিয়েছে। এখন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শুধুমাত্র প্রোগ্রামিং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই ফিচার এমন ব্যক্তিদের জন্যও পথ খুলে দেয় যাদের কাছে উদ্ভাবনী ধারণা আছে, কিন্তু কোডিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, আগামী সময়ে এই ধরনের AI-সহায়ক প্রযুক্তি ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়াকে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয়, দ্রুত এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তুলবে।













