জিএসটি কাঠামোর পরিবর্তনের ফলে পোশাক, জুতা এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী সস্তা হবে, যা চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে। मोतीলাল ওসওয়াল এম্বার এন্টারপ্রাইজ এবং ট্রেন্ট-এ 'বাই' রেটিং দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুসারে, এম্বারের টার্গেট প্রাইস ₹৯,০০০ এবং ট্রেন্টের ₹৬,৪০০ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা উভয় শেয়ারেই প্রায় ২০-২১% বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করে।
'বাই' রেটিং: ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া নতুন ট্যাক্স কাঠামো খুচরা এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স সেক্টরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। জুতা এবং পোশাকের উপর ট্যাক্স ৫% করা হয়েছে, যখন ইলেকট্রনিক্সের উপর ট্যাক্স ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করা হয়েছে। मोतीলাল ওসওয়ালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি চাহিদা বৃদ্ধি করবে এবং কোম্পানিগুলির বিক্রি বাড়াবে। বিশেষ করে, এম্বার এন্টারপ্রাইজ এবং ট্রেন্ট এর থেকে সরাসরি উপকৃত হবে। এই দুটি শেয়ারের উপর ব্রোকারেজ হাউস 'বাই' রেটিং দিয়েছে এবং ২০% এর বেশি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
পোশাক ও জুতার চাহিদা বাড়বে
মোতিলাল ওসওয়ালের রিপোর্ট অনুসারে, পোশাক এবং জুতা Segment-এর উপর এর সরাসরি প্রভাব দেখা যাবে। আগে যেখানে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত জুতার উপর ১২% ট্যাক্স লাগতো, এখন তা কমে মাত্র ৫% হয়েছে। একইভাবে, ১০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের পোশাকও এখন ৫% ট্যাক্স স্ল্যাবের আওতায় এসেছে। এর ফলে বিশেষত মধ্য-প্রিমিয়াম এবং সাধারণ মার্কেট উপকৃত হবে। রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে যে ট্রেন্ট এবং জুডিও-এর মতো ব্র্যান্ডেড রিটেলারদের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা আরও উন্নত হবে।
ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে স্বস্তি
কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স সেক্টরও এই ট্যাক্স কমানোর ফলে বড় স্বস্তি পেতে চলেছে। আগে টিভি, এয়ার কন্ডিশনার এবং অন্যান্য গৃহস্থালীর ইলেকট্রনিক সামগ্রীর উপর ২৮% ট্যাক্স দিতে হত। এখন তা কমিয়ে ১৮% করা হয়েছে। এর ফলে এই পণ্যগুলির দাম কমবে এবং মানুষ বেশি কেনাকাটা করবে। উৎসবের মরশুমের শুরুতে কিছুটা মন্থরতা থাকলেও, পরে চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস সস্তা হবে
প্রয়োজনীয় এবং দৈনন্দিন জিনিসপত্রের উপরও ট্যাক্স কমানো হয়েছে। অনেক জিনিসের উপর এখন ৫% বা শূন্য ট্যাক্স লাগবে। এর ফলে ব্র্যান্ডেড পণ্যের চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পরিবর্তন সাধারণ ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে এবং কোম্পানিগুলির বিক্রিও বৃদ্ধি করবে।
তবে, রিপোর্টে কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। জুতা তৈরিতে ব্যবহৃত রাবার সোল, সিন্থেটিক লেদার এবং ম্যানমেড ফাইবারের উপর এখনও ১২ থেকে ১৮% ট্যাক্স রয়েছে। এর ফলে কোম্পানিগুলির উৎপাদন খরচ বাড়ছে এবং লাভের উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। সরকার এই বিষয়টি স্বীকার করেছে, তবে আপাতত কোনও বড় সমাধান সামনে আসেনি।
এম্বার এবং ট্রেন্ট কোম্পানির উপর নজর
মোতিলাল ওসওয়াল তার রিপোর্টে দুটি বড় কোম্পানিকে বিনিয়োগের জন্য ভালো বলে চিহ্নিত করেছে। প্রথম কোম্পানি হল এম্বার এন্টারপ্রাইজ। এই কোম্পানি এয়ার কন্ডিশনার এবং তাদের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে। এসি-র উপর ট্যাক্স কমানোর ফলে এর চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কোম্পানিটির টার্গেট প্রাইস ৯০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান দাম প্রায় ৭৪৬৬ টাকা। অর্থাৎ, শেয়ারটিতে প্রায় ২১% বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
দ্বিতীয় কোম্পানি হল ট্রেন্ট। পোশাক এবং জুতার উপর ট্যাক্স কমানোর ফলে ট্রেন্ট সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই কোম্পানির ব্র্যান্ডেড রিটেল চেইন মধ্য-মূল্যের বাজারে আগে থেকেই শক্তিশালী। ট্যাক্স কমানোর ফলে এর বিক্রি আরও দ্রুত হতে পারে। রিপোর্টে ট্রেন্টের টার্গেট প্রাইস ৬৪০০ টাকা বলা হয়েছে। বর্তমান দাম ৫৩১৩ টাকা। অর্থাৎ, এতেও প্রায় ২০% পর্যন্ত বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।