জিও প্ল্যাটফর্মসের আইপিওর মূল্যায়ন ১৩০ বিলিয়ন থেকে ১৭০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এটি দেশের সবচেয়ে বড় আইপিও হবে। সংস্থাটির তালিকাভুক্তি ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে হতে পারে।
জিও আইপিও। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ডিজিটাল ও টেলিকম সংস্থা জিও প্ল্যাটফর্মস লিমিটেডের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কাররা ১৩০ বিলিয়ন থেকে ১৭০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মূল্যায়নের অনুমান করেছেন। যদি এই মূল্যায়ন চূড়ান্ত হয়, তবে জিও-এর আইপিও ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আইপিও হতে পারে। এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে জিও ভারতী এয়ারটেলকে ছাড়িয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলির মধ্যে স্থান করে নেবে। বর্তমানে আলোচনা চলছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
কবে আসতে পারে আইপিও?
মুকেশ আম্বানি আগস্ট ২০২৫-এ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, জিও-এর তালিকাভুক্তি ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে হতে পারে। জিও-এর তালিকাভুক্তির আলোচনা প্রথমবার ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে মেটা প্ল্যাটফর্মস (ফেসবুক) এবং অ্যালফাবেট (গুগল) জিও-তে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছিল। এই বিনিয়োগের পর জিও-এর বাজার মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
নতুন নিয়মের আইপিওর উপর প্রভাব
ভারতীয় বাজারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যেসব সংস্থার তালিকাভুক্তির পর বাজার মূল্য ₹৫ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়, তাদের অন্তত ₹১৫,০০০ কোটি টাকার শেয়ার বাজারে বিক্রি করতে হবে। এই নিয়মের কারণে জিও-এর পাবলিক অফার পূর্বের অনুমানের চেয়ে কিছুটা কম হতে পারে। আগে আশা করা হয়েছিল যে জিও ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি সংগ্রহ করতে পারবে, কিন্তু এখন এই পরিমাণ প্রায় ৪.৩ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত থাকতে পারে।
জিও-এর কত গ্রাহক?
সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত জিও-এর ৫০.৬ কোটি গ্রাহক ছিল। সংস্থাটির এআরপিইউ (ARPU) অর্থাৎ প্রতি ব্যবহারকারী গড় রাজস্ব ₹২১১.৪। তুলনামূলকভাবে, ভারতী এয়ারটেলের এআরপিইউ (ARPU) ₹২৫৬।
কেন বাড়ছে জিও-এর লাভ?
রিলায়েন্সের ডিজিটাল সার্ভিসেস ব্যবসা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বার্ষিক ১৭% বৃদ্ধি দেখিয়েছে। এর প্রধান কারণ হল জিও-এর ৫জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং গ্রাহক সংখ্যায় ধারাবাহিক বৃদ্ধি। শক্তিশালী পারফরম্যান্সকেই জিও-এর উচ্চ মূল্যায়নের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।













