কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কসের উপর ২৮% জিএসটি এবং ১২% সেস কমানোর প্রস্তাব সরকারের কাছে জমা পড়েছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এই দাবি জানিয়েছেন। জিএসটি কাউন্সিলের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
জিএসটি আপডেট: কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কসের উপর ২৮% জিএসটি এবং ১২% সেস মিলিয়ে মোট ৪০% ট্যাক্স লাগে। এখন এটি কমানোর প্রস্তাব সরকারের কাছে জমা পড়েছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ট্যাক্স কমানোর দাবি জানিয়েছেন। জিএসটি কাউন্সিলের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে এই বিষয়ে ফয়সালা হতে পারে, যার ফলে গ্রাহকরা কিছুটা সুরাহা পেতে পারেন।
কোল্ড ড্রিঙ্কস কি সস্তা হবে?
দেশে কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস অর্থাৎ কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং অন্যান্য ফিজ্জি পানীয়ের উপর যে ট্যাক্স লাগে, তা কমতে পারে। এই মুহূর্তে এর উপর মোট ৪০% ট্যাক্স ধার্য করা আছে, যার মধ্যে ২৮% জিএসটি এবং ১২% সেস অন্তর্ভুক্ত। এখন সরকার এই ট্যাক্সকে যুক্তিযুক্ত করার প্রস্তাব পেয়েছে।
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছেন, যাতে এই পণ্যগুলিকে ‘সিন গুডস’ (Sin Goods) এর তালিকা থেকে সরানো হয় এবং ট্যাক্সের হার কমানো হয়।
আগস্টে বড় ঘোষণা হতে পারে
জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠক ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই বৈঠকে কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস সহ অন্যান্য পণ্যের উপর ট্যাক্সের হার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা প্রস্তাব এবং অর্থ মন্ত্রকের পরামর্শের উপর আলোচনা করা হবে।
এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল বর্তমান জিএসটি পরিকাঠামোর পর্যালোচনা এবং ট্যাক্সের হারকে সরল করা। সূত্র মারফত জানা গেছে, কিছু পণ্যের উপর জিএসটি এবং সেসকে মার্জ করা হতে পারে অথবা ট্যাক্স স্ল্যাব কমানো হতে পারে।
ট্যাক্সের বোঝা কমানোর দাবি কেন?
কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কসের উপর বর্তমানে যে ট্যাক্স ধার্য করা আছে, তা এই পানীয়কে ‘সিন গুডস’ এর শ্রেণীতে ফেলে। এই একই শ্রেণীতে তামাক এবং পান মশলার মতো পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এইগুলির উপর সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স এবং সেস ধার্য করা হয়।
ইন্ডিয়ান বেভারেজেস অ্যাসোসিয়েশন (IBA) এবং অন্যান্য শিল্পগোষ্ঠীগুলি সরকারকে জানিয়েছে যে এই ট্যাক্স কাঠামো শুধুমাত্র অযৌক্তিক নয়, বরং এটি এই ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং বিনিয়োগের উপরও প্রভাব ফেলছে।
আদালতের মন্তব্যও সামনে এসেছে
সম্প্রতি গুয়াহাটি হাইকোর্টও একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। আদালতের বক্তব্য ছিল, যদি কোনো ফিজ্জি ফ্রুট ড্রিঙ্ক প্রধানত জুস ভিত্তিক হয়, তাহলে তার উপর ২৮%-এর পরিবর্তে ১২% জিএসটি ধার্য করা উচিত।
রাজ্যে রাজ্যে বিরোধিতা হতে পারে
যদিও কিছু রাজ্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারে, কারণ সেস সরানো হলে অথবা জিএসটি কমানো হলে তাদের রাজস্ব প্রভাবিত হতে পারে। সেসের টাকা রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাই এটি কমানো হলে অনেক রাজ্য চিন্তিত হতে পারে। তবুও, যদি কেন্দ্র এবং রাজ্য এই বিষয়ে একমত হয়, তাহলে গ্রাহকরা বড় সুবিধা পেতে পারেন।
সরাসরি লাভবান হবেন গ্রাহকরা
যদি জিএসটি এবং সেস কমানো হয়, তাহলে সরাসরি কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং অন্যান্য কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কসের দাম কমবে। এর ফলে একদিকে যেমন গ্রাহকরা সুরাহা পাবেন, তেমনই ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলোও তাদের লাভের মার্জিন উন্নত হতে দেখবে।