গুরুগ্রামে সামান্য বিবাদ থেকে খুন: সহকর্মীকে তৃতীয় তলা থেকে ধাক্কা মেরে হত্যা

গুরুগ্রামে সামান্য বিবাদ থেকে খুন: সহকর্মীকে তৃতীয় তলা থেকে ধাক্কা মেরে হত্যা

গুরুগ্রামে ১৪ আগস্ট একটি সামান্য ঝগড়া খूनी সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। ১৯ বছর বয়সী শ্রমিক উমেশ সহকর্মী পಪ್ಪು কুমার (৩৫)-কে খাবার পড়ে যাওয়ার বিবাদের জেরে তৃতীয় তলা থেকে ধাক্কা মেরে হত্যা করেছে। অভিযুক্ত গ্রেফতার, তদন্ত চলছে।

গুরুগ্রাম: হরিয়ানার শিল্প শহর গুরুগ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। গান্ধী নগর কলোনির একটি নির্মাণাধীন ভবনে ১৪ আগস্ট রাতে একটি সামান্য ঝগড়া ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এখানে ১৯ বছর বয়সী এক যুবক তার ৩৫ বছর বয়সী সহকর্মীকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তকে প্রযুক্তিগত এবং গোয়েন্দা তদন্তের ভিত্তিতে গুরুগ্রাম পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

কথাকাটাকাটি থেকে ক্ষোভ

পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, মৃত পಪ್ಪು কুমার (৩৫) উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগরের বাসিন্দা ছিলেন এবং গুরুগ্রামে শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি তার সহকর্মী উমেশ এবং রাজেশ-এর সাথে গান্ধী নগরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করতেন।

ঘটনার রাতে শ্রমিকরা একসাথে খাবার খাচ্ছিলেন। এই সময় খাবার পড়ে যাওয়া নিয়ে পಪ್ಪು এবং উমেশের মধ্যে বচসা হয়। কথা বাড়তে থাকলে রাজেশ মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে এবং পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্তও হয়ে যায়। কিন্তু পಪ್ಪು রাগান্বিত হয়ে তৃতীয় তলায় চলে যায়।

তৃতীয় তলা থেকে পড়ে পಪ್ಪು-র মৃত্যু

কিছুক্ষণ পর উমেশও তার পিছু পিছু উপরে পৌঁছায়। পুলিশ অনুসারে, সেখানে তাদের মধ্যে আবার বচসা হয় এবং রাগের বশে উমেশ পಪ್ಪು-কে ধাক্কা মারে। তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার কারণে পಪ್ಪು গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার পর ভবনে কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর অবিলম্বে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশকে দেওয়া হয়।

অভিযুক্তের গ্রেফতার

ঘটনার পর উমেশ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পಪ್ಪು-র ছোট ভাই শিবাজি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে, যার ভিত্তিতে পুলিশ হত্যার মামলা দায়ের করে।

গুরুগ্রাম পুলিশ মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি বিশেষ দল গঠন করে। পুলিশ মুখপাত্র অনুসারে, অভিযুক্ত গ্রেফতার এড়াতে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে লুকিয়ে ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং মানব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অবশেষে তাকে ধরা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন যে উমেশের কাছ থেকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাকে আদালতে পেশ করে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তার অপরাধ স্বীকার করেছে।

পরিবারে শোকের ছায়া

এই ঘটনায় মৃত পಪ್ಪು-র পরিবার শোকে স্তব্ধ। পরিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছে। পরিবার বলছে যে পಪ್ಪು পরিশ্রম করে তাদের সংসার চালাতো এবং তার অকাল মৃত্যু পুরো পরিবারকে গভীর সংকটে ফেলেছে।

গ্রামবাসীরাও ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন যে সামান্য কারণে এমন হত্যা সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তারা প্রশাসনের কাছে দোষীকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।

পুলিশের তদন্ত অব্যাহত

পুলিশ ঘটনার সময় অন্য কারও ভূমিকা ছিল কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাটি উমেশ এবং পಪ್ಪು-র মধ্যে ব্যক্তিগত বিবাদের কারণে ঘটেছিল।

গুরুগ্রাম পুলিশ বলছে যে শ্রমিক বস্তি এবং নির্মাণ স্থানে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে প্রায়শই ছোটখাটো ঝগড়া হয়, কিন্তু এই ঘটনাটি একটি উদাহরণ যে রাগের বশে নেওয়া একটি ছোট পদক্ষেপের কী ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।

Leave a comment