দিল্লি-নয়ডা মেট্রো যাত্রা সহজ: এখন একটি অ্যাপেই QR টিকিট

দিল্লি-নয়ডা মেট্রো যাত্রা সহজ: এখন একটি অ্যাপেই QR টিকিট

দিল্লি এবং নয়ডা মেট্রোতে যাতায়াতের জন্য এবার আর দুটি অ্যাপের প্রয়োজন হবে না। DMRC এবং NMRC যৌথভাবে QR টিকিটিং সিস্টেম চালু করেছে। যাত্রীরা এখন একটিমাত্র অ্যাপ থেকে উভয় মেট্রোর টিকিট কিনতে পারবেন।

মেট্রো নিয়ম: দিল্লি-নয়ডার মধ্যে মেট্রোতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য এটি একটি বিরাট স্বস্তির খবর। এখন থেকে দিল্লি মেট্রো (DMRC) এবং নয়ডা মেট্রো (NMRC) – উভয় মেট্রোতে যাতায়াতের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাপ থেকে টিকিট কাটার ঝামেলা শেষ হবে। এখন যাত্রীরা কেবল একটিমাত্র অ্যাপ থেকে QR টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে প্রতিদিন যাতায়াতকারী যাত্রীদের সময় ও পরিশ্রম দুটোই বাঁচবে।

NMRC এবং DMRC-র বড় সিদ্ধান্ত

নয়ডা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (NMRC) এবং দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (DMRC) যৌথভাবে এই সুবিধা চালু করেছে। এই সিদ্ধান্তের অধীনে এখন NMRC-র অ্যাপে দিল্লি মেট্রোর টিকিটও কেনা যাবে এবং DMRC-র সারথি অ্যাপে নয়ডা মেট্রোর টিকিটও পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, একটিমাত্র মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে উভয় নেটওয়ার্কের টিকিট কেনা সম্ভব হয়েছে।

QR টিকিটের মাধ্যমে যাত্রা সহজ হবে

NMRC-র MD লোকেশ এম তথ্য দিয়েছেন যে, এখন যাত্রীরা দিল্লি এবং নয়ডা মেট্রোতে শুধুমাত্র একটি QR কোডের মাধ্যমে যাতায়াত করতে পারবেন। যাত্রীদের এর জন্য আলাদা আলাদা টিকিট কেনার প্রয়োজন হবে না। এই QR টিকিট নেট ব্যাঙ্কিং, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড এবং UPI-এর মতো পেমেন্ট মোডের মাধ্যমে কেনা যেতে পারে।

এবার আর দুটি টিকিটের ঝামেলা পোহাতে হবে না

এখন পর্যন্ত যাত্রীদের একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। নয়ডা মেট্রো সেক্টর ৫১ থেকে গ্রেটার নয়ডা ডিপো পর্যন্ত চলে। অন্যদিকে, দিল্লি থেকে গ্রেটার নয়ডা যাওয়ার জন্য যাত্রীদের ব্লু লাইনের সেক্টর ৫২ মেট্রো স্টেশনে নামতে হতো এবং তারপর NMRC-র অ্যাকুয়া লাইন-এর সেক্টর ৫১ মেট্রো স্টেশন থেকে যাত্রা চালিয়ে যেতে হতো। এই সময়ে যাত্রীদের আলাদা করে টিকিট কাটতে হতো। কিন্তু এখন এই ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে।

আগে কীভাবে টিকিট পাওয়া যেত

উল্লেখ্য যে, দিল্লি মেট্রোতে যাতায়াতের জন্য এতদিন DMRC-র সারথি অ্যাপ থেকে টিকিট কিনতে হতো। অন্যদিকে, নয়ডা মেট্রোতে যাতায়াতের জন্য NMRC-র অ্যাপ ব্যবহার করতে হতো। অর্থাৎ, যাত্রীদের আলাদা আলাদা অ্যাপ ইনস্টল করতে হতো এবং টিকিট বুকিংয়েও বেশি সময় লাগত। এখন এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সহজ হয়ে গেছে।

যাত্রীদের বড় সুবিধা হবে

এই সুবিধাটি বিশেষভাবে তাদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে যারা প্রতিদিন দিল্লি এবং নয়ডার মধ্যে যাতায়াত করেন। একটিমাত্র QR টিকিটের মাধ্যমে যাতায়াত করলে কেবল সময় বাঁচবে না, বরং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে টিকিট বুকিংও আরও দ্রুত এবং নিরাপদ হবে। এছাড়াও যাত্রীরা আলাদা আলাদা অ্যাপ ডাউনলোড করার এবং বারবার টিকিট কেনার ঝামেলা থেকেও মুক্তি পাবেন।

প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হবে পুরো নেটওয়ার্ক

DMRC এবং NMRC উভয়ই এখন একটি অভিন্ন টিকিটিং সিস্টেমের দিকে এগোচ্ছে। এর ফলে আগামী সময়ে আরও মেট্রো নেটওয়ার্ক যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই উদ্যোগকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং স্মার্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

এই সিদ্ধান্তটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ দিল্লি-এনসিআর-এ মেট্রো লক্ষ লক্ষ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করে। অফিসগামী কর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ প্রতিদিন এই রুট ব্যবহার করেন। এমন পরিস্থিতিতে, টিকিটিং সিস্টেমকে সহজ এবং ডিজিটাল করে তোলা সরকার এবং মেট্রো প্রশাসনের একটি বড় অগ্রাধিকার।

Leave a comment