গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা? গরম জলে মিশিয়ে খান এই ঘরোয়া উপায়, মিলবে তাত্ক্ষণিক আরাম

গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা? গরম জলে মিশিয়ে খান এই ঘরোয়া উপায়, মিলবে তাত্ক্ষণিক আরাম

Gut Health টিপস: বাঙালির ঘরে হজমের সমস্যা নতুন নয়। অনেকেই প্রায়ই পেট ফাঁপা, ঢেকুর, অম্বল বা পেটব্যথার অভিযোগ করেন। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, এটি মূলত বাত দোষ বৃদ্ধির কারণে হয়, যা হজমের ভারসাম্য নষ্ট করে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর জানাচ্ছেন, ঘরোয়া প্রতিকার যেমন আদা চা, মৌরিজল, হিং-মধুর দ্রবণ ও ত্রিফলা পাউডার খেলে অম্বল ও গ্যাসের জয়ঢাক চুপসে যাবে সহজেই।

পেটের গ্যাস ও অম্বল: সাধারণ কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক

গ্যাস জমে গেলে পেট ফুলে ঢোল হয়ে যায়, কখনও ব্যথাও হয়। দীর্ঘমেয়াদে এটি হজম প্রক্রিয়া দুর্বল করে ফেলে। আয়ুর্বেদ মতে, বাত দোষ বেড়ে গেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। তাই খাদ্যাভ্যাস ও কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে অনেকটাই স্বস্তি মিলতে পারে।

আদা চা: হজমশক্তির প্রাকৃতিক বন্ধু

তাজা আদার টুকরো জলে ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করলে হজমে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান গ্যাস, অম্বল ও ঢেকুর দূর করে। সকালে বা দুপুরের খাবারের পর এক কাপ আদা চা বিশেষ উপকারী।

মৌরিজল ও জোয়ান জল: গ্যাসের তাৎক্ষণিক ওষুধ

এক চামচ মৌরি গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল পান করলে গ্যাসের সমস্যা কমে। আবার জোয়ান, কালো লবণ ও হালকা গরম জলের মিশ্রণ তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। এই দুই প্রতিকার আয়ুর্বেদে প্রমাণিত কার্যকর হজম সহায়ক হিসেবে পরিচিত।

হিং-মধুর দ্রবণ: বুক জ্বালা ও ভারি ভাব কমায়

হিং ও মধু হালকা গরম জলে মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা ও ব্যথা কমে। এই মিশ্রণ পেটের গ্যাস রিলিজে সহায়তা করে এবং হজমের ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রতিদিন খাবারের পর আধ চা চামচ এই দ্রবণ পান করলে ফল মেলে দ্রুত।

জিরা-শুকনো আদা ও ত্রিফলা পাউডার: হজমের সম্পূর্ণ যত্ন

শুকনো আদা ও জিরা গুঁড়ো করে খাবারের পর খান। এটি হজমে সহায়তা করে ও ভারি ভাব দূর করে। অন্যদিকে, ত্রিফলা পাউডার (আমলা, হরিতকি, বয়রা) রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম জলে মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসে।

পেট ফাঁপা, গ্যাস, অম্বল বা হজমের সমস্যা—সবই হজমশক্তি দুর্বলতার লক্ষণ। আয়ুর্বেদ মতে, বাত দোষ বৃদ্ধির ফলেই এমন হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরোয়া কিছু উপায় যেমন আদা চা, মৌরিজল, হিং-মধু মিশ্রণ বা ত্রিফলা নিয়মিত খেলে গ্যাস ও পেটফাঁপার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

Leave a comment