ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্ধারিত হবে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানবে কিনা। ইজরায়েল ইতিমধ্যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
Hamas Gaza Ceasefire: আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন যে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে কিনা। তিনি জানান যে ইজরায়েল এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যে সম্মতি জানিয়েছে। এই প্রস্তাবটি আমেরিকার উদ্যোগে তৈরি হয়েছে, যার অধীনে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে।
ইজরায়েলের তরফে সবুজ সংকেত
ট্রাম্প বলেন, ইজরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত শর্তাবলী গ্রহণ করেছে। এখন হামাসের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে। ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে হামাস প্রস্তাবটি মেনে নিয়েছে কিনা। তিনি বলেন, “আমরা দেখব কি হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা সবকিছু জানতে পারব।”
হামাসের শর্ত: স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা
হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে সংগঠনটি চায় এই নতুন মার্কিন প্রস্তাবে গাজায় চলমান ইজরায়েলি হামলা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার গ্যারান্টি দেওয়া হোক। একই সময়ে, ইজরায়েলের দুই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে প্রস্তাবের কিছু অংশে এখনো আলোচনা চলছে।
অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হয়েছিল সাম্প্রতিক যুদ্ধ
গাজায় ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধ অক্টোবর ২০২৩ এ শুরু হয়েছিল। তখন হামাস ইজরায়েলে আক্রমণ করে, যাতে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছিল এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। এর পরে, ইজরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে।
ইজরায়েলি হামলায় হাজারো মানুষের মৃত্যু
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, ইজরায়েলি সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৬,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়াও, লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ এবং মানবিক সংকট অত্যন্ত গুরুতর হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, যদিও ইজরায়েল এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গাজার উপর আমেরিকার দখলের ট্রাম্পের পরিকল্পনা
ট্রাম্প এই বছরের শুরুতে একটি বিতর্কিত প্রস্তাব রেখেছিলেন, যেখানে গাজার উপর আমেরিকার অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্রস্তাবের জাতিসংঘের সদস্য, মানবাধিকার সংস্থা এবং ফিলিস্তিনিরা তীব্র সমালোচনা করেছিল। বিশেষজ্ঞরা এটিকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন।