কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককগামী থাই লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ বিমান ফ্ল্যাপের ত্রুটির কারণে উড্ডয়নের আগে ফিরে আসে। নিরাপত্তা জনিত কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়। যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কলকাতা: কলকাতা থেকে ব্যাংককগামী থাই লায়ন এয়ারের একটি ফ্লাইটে শনিবার হঠাৎ প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়। বোয়িং ৭৩৭ মডেলের এই বিমানটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু টেক-অফের আগেই এর ফ্ল্যাপে সমস্যা ধরা পড়ে, যার কারণে উড়ান বাতিল করতে হয়। বিমানে মোট ১৩০ জন যাত্রী এবং সাত জন ক্রু সদস্য ছিলেন। এই ঘটনার পর যাত্রীদের মধ্যে যথেষ্ট অসন্তোষ দেখা যায় এবং এয়ারলাইন স্টাফদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
ফ্লাইট টেক-অফের আগেই ফিরে আসে
ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (AAI) কর্মকর্তাদের মতে, ফ্লাইটটি শনিবার ভোর ২:৩৫ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উড্ডয়নের আগে চেকিংয়ের সময় বিমানের ফ্ল্যাপ সিস্টেমে ত্রুটি ধরা পড়ে। এই ত্রুটি গুরুতর হওয়ায় পাইলট বিমানটিকে টেক-অফের আগেই পার্কিং স্ট্যান্ডে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। বিমানটিকে পার্কিং বে-তে নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়।
ফ্ল্যাপের ত্রুটি থেকে বড় বিপদ হতে পারে
বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ফ্ল্যাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত অংশ, যা টেক-অফ এবং ল্যান্ডিংয়ের সময় বিমানের পাখাকে অতিরিক্ত উত্তোলন দিতে সাহায্য করে। যদি এই সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করে, তবে উড্ডয়নের সময় ভারসাম্য এবং নিয়ন্ত্রণের উপর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে। এই কারণেই এই ত্রুটিটিকে হালকাভাবে না নিয়ে, উড়ান সম্পূর্ণভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও এই পদক্ষেপকে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছে।
যাত্রীদের ক্ষোভ
ফ্লাইট বাতিলের খবর যখন যাত্রীদের জানানো হয়, তখন তাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা যায়। অনেক যাত্রী এয়ারলাইন স্টাফদের উপর প্রশ্ন তোলেন এবং কাউন্টারে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিছু যাত্রী গভীর রাত পর্যন্ত ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করার পর বাতিলের কারণে অসন্তুষ্ট হন। যদিও এয়ারলাইনের পক্ষ থেকে যাত্রীদের জানানো হয় যে প্রযুক্তিগত কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
এয়ারলাইনের ব্যাখ্যা
থাই লায়ন এয়ারের একজন কর্মকর্তা জানান যে, যাত্রীদের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো আপস করা যায় না। ফ্ল্যাপ সিস্টেমে সমস্যা দেখা দিলে উড়ান চালিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হত, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে প্রযুক্তিগত পরীক্ষা ও মেরামতের জন্য উড়ান স্থগিত রাখা হবে। তিনি আরও জানান যে, যাত্রীদের রি-বুকিং বা রিফান্ডের সুবিধা দেওয়া হবে এবং কোম্পানি তাদের অসুবিধার জন্য দুঃখিত।