হরদোইতে দুই সহোদর ভাই তাদের বোনের উপর বছরের পর বছর ধরে যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ভুক্তভোগী তার বাগদত্তকে নিজের যন্ত্রণার কথা জানায়, যিনি পুলিশকে প্রমাণ দেখিয়ে ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং তাদের গ্রেপ্তার করান।
হরদোই: উত্তর প্রদেশের হরদোই জেলা থেকে একটি বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে দুই সহোদর ভাই তাদের বোনের সাথে বহু বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। ভুক্তভোগী যখনই তার বাবা-মাকে এই বিষয়ে জানাতো, তারা উল্টো তাকেই বকাঝকা করে চুপ করিয়ে দিত। অবশেষে, মেয়েটি তার বিয়ে ঠিক হওয়ার পর তার বাগদত্তকে পুরো ঘটনা জানায়। বাগদত্ত তার মনোবল বাড়িয়েছিল এবং প্রমাণ সহ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনার পর পুলিশ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে।
সহোদর ভাইদের জঘন্য কুকীর্তির উন্মোচন
তথ্য অনুযায়ী, অরওয়াল থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতী বহু বছর ধরে তার সহোদর ভাইদের ভয় ও হুমকির শিকার ছিল। পরিবারে বিষয়টি জানানোর পরেও সে কোনো সহযোগিতা পায়নি এবং বাবা-মা উল্টো তাকে বকাঝকা করে গেছেন। লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করার পর যুবতী তার বাগদত্তের কাছে ভয়ে ভয়ে সমস্ত সত্যি প্রকাশ করে।
বাগদত্ত ভুক্তভোগীর আস্থা অর্জন করে তার পরিবারের সাথে আলোচনা করেন এবং স্থির করেন যে তিনি তাকে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করবেন। এরপর ভুক্তভোগী পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে এবং প্রমাণস্বরূপ ভাইদের কুকর্মের ভিডিও পুলিশকে দেখায়।
পুলিশও হতবাক
পুলিশকে যখন প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়, তখন অনেক কর্মকর্তা বিশ্বাস করতে পারেননি যে সহোদর ভাইরা তাদের বোনের সাথে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে। তারা ভাবছিলেন যে যুবতী তার বাগদত্তের কথায় প্রভাবিত হয়ে তার ভাইদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু যখন ভুক্তভোগী ভাইদের ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও দেখায়, তখন পুলিশকর্মীরাও হতবাক হয়ে যান। ভিডিও এবং অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অবিলম্বে মামলা দায়ের করে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে।
পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে
অভিযুক্ত ভাইদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এখন পুরো ঘটনার তদন্ত করছে এবং অভিযুক্ত ভাইদের গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভুক্তভোগী জানিয়েছে যে বাগদত্তের সহযোগিতা পাওয়ার পর তার মধ্যে ন্যায়বিচারের আশা জেগেছে। এখন সে তার জীবনে এগিয়ে যেতে এবং মানসিক শান্তি পেতে চেষ্টা করছে। পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্দেশ্য হলো, এই ধরনের অপরাধ কোনো পরিস্থিতিতেই সহ্য করা হবে না এবং ভুক্তভোগী সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার পাবে।