অভিযুক্ত খালিদকে দেরাদুন থেকে পুলিশের একটি দল হরিদ্বারে নিয়ে আসে। পুলিশ রিক্রিয়েশন (পুনর্গঠন/ঘটনাটি পুনরায় দেখানো) চলাকালীন খালিদকে দেওয়াল টপকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার পদ্ধতি দেখাতে বলে। খালিদ প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট উঁচু দেওয়াল টপকে প্রবেশ করে এবং ৯ নম্বর কক্ষ পর্যন্ত যায়। পুলিশ খালিদের আসা-যাওয়ার পথ চিহ্নিত করে একটি মানচিত্র তৈরি করে। খালিদের বোন সাবিহাকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই রিক্রিয়েশন প্রক্রিয়ার সময় এটি প্রকাশ পায় যে পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল।
প্রধান অভিযুক্ত খালিদ মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রমাণ ও তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে যে সে পরীক্ষা কেন্দ্রে পঠিত প্রশ্নপত্রের তিন পৃষ্ঠার ছবি তুলে তার বোন সাবিহাকে পাঠিয়েছিল। সাবিহা খালিদের ফোন থেকে সেই ছবিগুলি অধ্যাপক সুমনের কাছে পাঠায় এবং তাঁর কাছ থেকে উত্তর সংগ্রহ করে।
এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ড সরকার এবং কমিশনের প্রতিক্রিয়াও সামনে এসেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে এই ধরনের পরীক্ষার অনিয়ম সহ্য করা হবে না। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদ্বারে অবস্থিত "আদর্শ বাল সদন ইন্টার কলেজ"-এ, যেখানে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কলেজের প্রধান ধর্মেন্দ্র সিং চৌহান বলেছেন যে জ্যামার (মোবাইল জ্যামার) কম ছিল। কিছু কক্ষে জ্যামার ছিল না এবং সিসিটিভি ভিতরে বন্ধ ছিল। জ্যামার না থাকার কারণেই খালিদ সুযোগ পেয়েছিল।
এই ঘটনাটি শুধু নকলের নয়, বরং একটি পদ্ধতিগত দুর্বলতা এবং ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাকেও তুলে ধরে।