গুজরাটে কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হরিণঘাটার শ্রমিকের! এলাকায় শোকের ছায়া

গুজরাটে কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হরিণঘাটার শ্রমিকের! এলাকায় শোকের ছায়া

Haringhata Worker Death: পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে গুজরাটে কাজে গিয়েছিলেন নদিয়ার হরিণঘাটার কুরুম বেরিয়াম এলাকার মশিয়ার বিশ্বাস (৩১)। বৃহস্পতিবার নির্মীয়মান এক বহুতলে কাজের সময় ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার সন্ধ্যায় মৃতদেহ হরিণঘাটার গ্রামে ফিরতেই নেমে আসে শোকের ছায়া।

বহুতলের ছাদ থেকে মর্মান্তিক পতন

পুলিশ সূত্রে খবর, গুজরাটের ওই নির্মীয়মান ভবনে মশিয়ার কাজ করছিলেন দুই মাস ধরে। ১৬ অক্টোবর বিকেলে হঠাৎই তিনি উপরের তলা থেকে পড়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সহকর্মীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, গুরুতর মাথা ও শরীরের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

হরিণঘাটায় ফিরল দেহ, স্তব্ধ গ্রাম

শনিবার সন্ধ্যায় বিমানে করে গুজরাট থেকে আনা হয় মশিয়ার বিশ্বাসের মৃতদেহ। গ্রামে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মশিয়ার ছিলেন পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী। তাঁর মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের আবহ। প্রতিবেশীরা মৃতের পরিবারকে প্রশাসনিক সাহায্যের দাবিও জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু? তদন্তে পুলিশ

ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে—এটি নিছক দুর্ঘটনা, না এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। নির্মাণ সংস্থার কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কর্মস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি ছিল কি না, তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পরিবারে ভরসার একমাত্র স্তম্ভ ছিলেন মশিয়ার

মৃত শ্রমিকের পরিবার জানিয়েছে, গরিব সংসারের ভরসা ছিলেন মশিয়ার। প্রতিদিনের রোজগারের টাকাতেই চলত সংসার। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের আর্থিক অনিশ্চয়তা আরও গভীর হলো। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

গুজরাটে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল নদিয়ার হরিণঘাটার পরিযায়ী শ্রমিক মশিয়ার বিশ্বাসের (৩১)। বহুতলের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শনিবার তাঁর দেহ ফিরে আসে গ্রামে, কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a comment