শীতকালের জয়েন্ট পেইন :শীত পড়তেই অনেকেরই পুরনো হাঁটুর ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষত যারা আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ঠান্ডা আবহাওয়া এক দুঃস্বপ্নের মতো। ঠান্ডা বাতাসে রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয়ে যায়, ফলে জয়েন্টে রক্ত প্রবাহ সীমিত হয় ও ব্যথা বেড়ে যায়। ডাক্তারদের মতে, নিয়মিত শরীরচর্চা, সূর্যের আলোতে থাকা ও কিছু বিশেষ খাবার খেলে এই শীতেও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ঠান্ডা আবহাওয়ায় কেন বাড়ে জয়েন্ট ব্যথা
তাপমাত্রা কমে গেলে শরীরের অভ্যন্তর উষ্ণ রাখতে রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয়। এর ফলে পেশী ও জয়েন্টে রক্তপ্রবাহ কমে, অক্সিজেন ও পুষ্টি কম পৌঁছায়। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জয়েন্ট শক্ত ও ব্যথাযুক্ত মনে হয়। শীতকালে ব্যারোমেট্রিক চাপ কমে যাওয়াও ফোলাভাব ও অস্বস্তি বাড়ায়।

চিকিৎসকের পরামর্শ: চলাফেরা বাড়ান, স্থির থাকবেন না
দীর্ঘক্ষণ স্থির থাকা, যেমন হিটারের পাশে বসে থাকা বা কম্বলের নিচে গুটিয়ে থাকা, পরিস্থিতি আরও খারাপ করে। যোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ এন গণেশ রাও বলেন, “হালকা হাঁটা, স্ট্রেচিং বা যোগব্যায়াম জয়েন্টের শক্ততা কমাতে কার্যকর।” তাই শীতেও শরীর সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি।
এই ৩ খাবার রাখুন রোজের ডায়েটে
ডাক্তারদের মতে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার শীতকালীন ব্যথা রোধে অত্যন্ত উপকারী।
ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ যেমন স্যামন বা রুই ব্যথা কমায়।
দুধ ও দই হাড়ের ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করে।
ডিমের কুসুম ও সূর্যালোক ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস, যা জয়েন্টকে নমনীয় রাখে।

মানসিক সুস্থতাও গুরুত্বপূর্ণ
গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপ ও দুঃখ ব্যথা বাড়ায়। খুশি ও ইতিবাচক মানসিকতা ব্যথার অনুভূতি কমায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম, হালকা গান শোনা বা ধ্যান অনুশীলনও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

শীত এলেই বাড়ে হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা। ঠান্ডা আবহাওয়ায় পেশী শক্ত হয়ে যায়, রক্তপ্রবাহ কমে যায়, ফলে ব্যথা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি নির্দিষ্ট খাবার খেলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমে এবং হাড়ের গঠন শক্ত থাকে।













