দিল্লি-এনসিআর এবং উত্তর ভারতে বর্ষা সক্রিয় থাকার কারণে সারা সপ্তাহ জুড়েই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর আগামী দিনে ভারী বৃষ্টি, বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যার ফলে রাজধানী এবং আশেপাশের অঞ্চলে আর্দ্রতা এবং গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Weather Update: দিল্লি-এনসিআর-এ আজকাল আর্দ্রতাজনিত গরমে মানুষ বেশ সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সারা সপ্তাহ জুড়েই রাজধানী এবং এর আশেপাশে ঝমঝম বৃষ্টি এবং বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ ও ২৮ অগাস্ট সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে ২৯ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত একই রকম আবহাওয়া বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বৃষ্টির ধারা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই দিনগুলিতেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ সহ সমগ্র উত্তর ভারতে বুধবার ভারী বৃষ্টি হওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দিল্লি-এনসিআর-এর আবহাওয়ার আপডেট
দিল্লি-এনসিআর-এ ২৭ ও ২৮ অগাস্ট সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়কালে ঝমঝম বৃষ্টি এবং বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার ধারা বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২৯ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত একই রকম আবহাওয়া থাকবে। এই সময় আর্দ্রতাজনিত গরম বজায় থাকলেও একটানা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।
উত্তর ভারতের রাজ্য উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর এই রাজ্যগুলিতে সতর্ক থাকার জন্য জানিয়েছে।
রাজস্থানে কমলা সতর্কতা জারি
রাজস্থানে বর্ষার বৃষ্টি একটানা চলছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের অধিকাংশ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর আগামী দুই-তিন দিনে কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে। বিশেষ করে মঙ্গলবার জালোর, উদয়পুর এবং সিরোহিতে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, আলওয়ার, বাঁশওয়াড়া, ডুঙ্গারপুর, ঝুনঝুনু, রাজসামান্দ, বারমের, বিকানের এবং পালি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে ভূমিধস এবং বন্যার আশঙ্কা
হিমাচল প্রদেশে অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক দোকান ভেসে গেছে, বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে এবং প্রধান সড়কগুলির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আবহাওয়া দফতর কাংড়া, চাম্বা এবং লাহৌল-স্পিতি জেলাগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও উনা, হামিরপুর, বিলাসপুর, সোলান, মান্ডি, কুল্লু এবং শিমলা শহরে ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উত্তর ওড়িশার বালাসোর, ভদ্রক ও জাজপুর জেলার ১৭০টির বেশি গ্রাম বন্যার জলে ডুবে গেছে। আবহাওয়া দফতর বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপের কারণে আগামী কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। সুবর্ণরেখা ও বৈতরণী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় অনেক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালিয়াপাল, ভোগরাই ও জলেশ্বরের ১৩০টি গ্রাম এবং জাজপুরের প্রায় ৪৫টি গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে। ভদ্রক জেলার ধামনগর ও ভান্ডারীপোখরি ব্লকও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে।