উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে সমাজবাদী পার্টির সমস্ত জেলা ও বিধানসভা পর্যবেক্ষকদের অপসারণ। অখিলেশ যাদবের নির্দেশে শীঘ্রই নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে এই বড় পদক্ষেপ।
UP Election: উত্তরপ্রদেশে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সমাজবাদী পার্টি (সপা) তাদের সংগঠনে বড় পরিবর্তন এনেছে। পার্টির জাতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদবের নির্দেশে সমস্ত জেলা ও বিধানসভা ক্ষেত্রের বর্তমান পর্যবেক্ষকদের অবিলম্বে অপসারণ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল পার্টি সংগঠনকে চাঙ্গা করা এবং আসন্ন নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন যে প্রদেশ সভাপতি শ্যামলাল পাল অখিলেশ যাদবের নির্দেশ অনুসারে সমস্ত জেলা ও বিধানসভা পর্যবেক্ষকদের অপসারণের নির্দেশ জারি করেছেন। এর পিছনে পার্টি সংগঠনে কার্যকর নেতৃত্ব এবং আরও ভালো কর্ম সম্পাদন নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।
কেন বর্তমান পর্যবেক্ষকদের সরানো হল?
পার্টির নেতাদের মতে, যে পর্যবেক্ষকদের সরানো হয়েছে, তাঁদের বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা দায়িত্বের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। অনেক পর্যবেক্ষককে "আপনা বুথ করো মজবুত" অভিযানের সময় তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাঁদের কার্যকারিতা এবং সংগঠনে অবদান সন্তোষজনক দেখা যায়নি।
কিছু নেতার অভিযোগ সরাসরি অখিলেশ যাদবের কাছে পৌঁছেছিল। এই অভিযোগগুলো মূলত সংগঠনে ধীর গতিতে কাজ করা, কার্যকর নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং বুথ স্তরে দুর্বল সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ছিল। এই কারণে অখিলেশ যাদব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে নতুন পর্যবেক্ষকদের এমন নেতা করা হবে, যাঁরা নিজেদের জেলা বা বিধানসভা ক্ষেত্রে শক্তিশালীভাবে কাজ করতে পারবেন এবং পার্টির লক্ষ্যগুলিকে কার্যকরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
নতুন তালিকা শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে
সমাজবাদী পার্টির সূত্র জানিয়েছে যে পার্টি শীঘ্রই নতুন জেলা ও বিধানসভা পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করবে। নতুন পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনে এটা ध्यान রাখা হবে যে তারা সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলবেন এবং নির্বাচনী কৌশল কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন।
সমাজবাদী পার্টির এই সাংগঠনিক পরিবর্তন স্পষ্টতই ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে করা হয়েছে। পার্টি নেতৃত্ব মনে করে যে শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামোই নির্বাচনী সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। নতুন পর্যবেক্ষকদের ঘোষণার সাথে সাথে পার্টি তাদের বুথ স্তর থেকে শুরু করে জেলা ও বিধানসভা স্তর পর্যন্ত কার্যকর কাজকর্ম নিশ্চিত করবে।
অখিলেশ যাদবের বিজেপির ওপর আক্রমণ
এই সাংগঠনিক পরিবর্তনের মধ্যে অখিলেশ যাদব কেন্দ্র সরকার এবং বিজেপির ওপর তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনী বিল ২০২৫-এর উল্লেখ করে বলেছেন যে সরকার এমন আইন আনে যাতে তারা সবসময় ক্ষমতায় থাকতে পারে। তিনি বলেন, "যারা दूसरों के लिए गड्ढा खोदते हैं, वे अंततः खुद उसमें गिर जाते हैं। দুনিয়ার সমস্ত স্বৈরাচারী সরকার সময়ে সময়ে এই ধরনের আইন আনে, কিন্তু কোনও সরকার টিকতে পারেনি। ইতালি, জার্মানি, রাশিয়া এর উদাহরণ।"
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে পিডিএ সম্প্রদায় ক্রমাগত अन्याय ও অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। অখিলেশ যাদব বলেন যে সরকার भेदभाव করছে এবং বাবাসাহেব আম্বেদকর কর্তৃক প্রদত্ত आरक्षण ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন যে চাকরি, রোজগার ও आरक्षण বিজেপি সরকারের এজেন্ডাতে নেই।
সমাজবাদী পার্টির সাংগঠনিক কাঠামো ও आगामी রণनीতি
সমাজবাদী পার্টির সাংগঠনিক পরিবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্য হল এটা নিশ্চিত করা যে পার্টির প্রতিটি জেলা ও বিধানসভা क्षेत्र শক্তিশালী নেতৃত্বের অধীনে থাকে। নতুন পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনে সেই নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যারা স্থানীয় স্তরে পার্টির নীতিগুলি কার্যকর করতে পারবেন এবং জনগণের মধ্যে পার্টির পরিচিতি শক্তিশালী করতে পারবেন।