High Blood Pressure Remedy: বিশ্বজুড়ে ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সিস্টোলিক ১৩০ mm Hg বা তার বেশি এবং ডায়াস্টোলিক ৮০ mm Hg বা তার বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ ধরা হয়। চিকিৎসকের ওষুধের সঙ্গে পাশাপাশি কিছু খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ কমানো সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, টম্যাটো, দারচিনি, তৈলাক্ত মাছ, তরমুজ, রসুন, কলা, ওটস, ডাল, সবুজ পাতাজাতীয় শাক—এই ১২টি খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট ও কিডনির স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
টম্যাটো ও ডাল: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক সুরক্ষা
২০২১ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, টম্যাটোতে থাকা লাইকোপিন ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে। ডালজাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং সিস্টোলিক রক্তচাপও কমে।
তৈলাক্ত মাছ ও দারচিনি: হার্টের জন্য দরকারি
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে দু’বার ৩ আউন্স করে তৈলাক্ত মাছ খেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। একইভাবে প্রতিদিন ২ গ্রাম দারচিনি খেলে ৮ সপ্তাহের মধ্যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
লেবু, তরমুজ ও বিট: প্রাকৃতিক রক্তচাপ কমানো
লেবুর রস, তরমুজের সাইট্রুলিন এবং বিটের রস রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, ফলে রক্তচাপ কমে। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো রক্তনালী ও হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
বাদাম, রসুন ও ওটস: নিয়মিত গ্রহণে উপকারিতা
বাদাম (কুমরো বীজ, চিয়া, ফ্ল্যাক্স বীজ, আখরোট) নিয়মিত খেলে রক্তচাপ কমে। রসুন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ওটসে থাকা বিটা গ্লুকান হার্ট সুস্থ রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কলা ও সবুজ শাক: সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ ও পটাশিয়ামের উৎস
কলায় থাকা পটাশিয়াম সোডিয়ামের খারাপ প্রভাব দূর করে। সবুজ পাতাজাতীয় শাক যেমন বাঁধাকপি, পালং শাক ও সর্ষে শাক নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হার্ট, কিডনি ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে বিজ্ঞানসম্মত কিছু খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। টম্যাটো, দারচিনি, তরমুজ, রসুন ও কলা—এই ১২টি খাবারই ‘মিরাকেল’ হিসেবে কাজ করে।