ভিটামিন ডি ও বি-এর অভাবে ক্লান্তি? রইল সহজ সমাধান

ভিটামিন ডি ও বি-এর অভাবে ক্লান্তি? রইল সহজ সমাধান

শরীরে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি-এর অভাব প্রায়শই শক্তির অভাব এবং ক্লান্তির জন্য দায়ী। এই ভিটামিনগুলির অভাব শরীরে পেশী ব্যথা, হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ বা অসাড়তা এবং দুর্বলতার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। শক্তি বাড়াতে, কলা, শুকনো ফল, নারকেলের জল, দুধ, আমলকি এবং বিটরুটের মতো পুষ্টিকর খাবারগুলি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উপকারী।

ন্যাশনাল নিউট্রিশন উইক: নিউট্রিশন উইক (১-৭ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ক্রমাগত ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি-এর অভাবে পেশী ব্যথা, হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ বা অসাড়তা এবং দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাৎক্ষণিক শক্তির জন্য, কলা, শুকনো ফল, নারকেলের জল, দুধ, আমলকি এবং বিটরুটের মতো পুষ্টিকর খাবারগুলি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

কোন ভিটামিনের অভাবে শক্তির অভাব হয়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আপনি ঘন ঘন ক্লান্তি, দুর্বলতা বা মানসিক অবসাদ অনুভব করেন, তাহলে এর পেছনে শরীরে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি-এর অভাব দায়ী হতে পারে। ভিটামিন ডি হাড় ও পেশী মজবুত করতে সাহায্য করে এবং এর অভাবে শরীর ক্লান্ত বোধ করে। অন্যদিকে, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরে শক্তি উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া এবং শক্তি উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

ঘাটতি শনাক্ত করার লক্ষণ

ভিটামিন ডি এবং বি-এর অভাবের বেশ কিছু স্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে। শরীরে ক্রমাগত দুর্বলতা ও ক্লান্তি, পেশী ব্যথা বা ক্র্যাম্প, হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ বা অসাড়তা, এবং মাঝে মাঝে মানসিক ক্লান্তি বা মেজাজের পরিবর্তনও এর দিকে ইঙ্গিত করে। যদি এই লক্ষণগুলি দীর্ঘকাল ধরে দেখা যায়, তবে তা উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে। সময়মতো শনাক্তকরণ এবং সঠিক পুষ্টি এটিকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

খাদ্যতালিকায় এই জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন

শক্তি স্তর বাড়ানোর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। কলা প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের একটি ভাল উৎস এবং তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। বাদাম, কাজু এবং আখরোটের মতো শুকনো ফলগুলি ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক। নারকেলের জল শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে এবং সতেজতা আনে। দুধে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন থাকে, যা শরীরের শক্তি এবং সহনশীলতা বাড়ায়। এছাড়াও, আমলকি এবং বিটরুটও শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদানে সহায়ক।

সূর্যের আলো থেকেও পাওয়া যায়

ভিটামিন ডি-এর জন্য শুধুমাত্র খাদ্যই যথেষ্ট নয়। শরীর সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে অন্তত ১৫-২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকা উপকারী। সকালের হালকা রোদ ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণে এবং শরীরকে সতেজ ও উদ্যমী রাখতে সাহায্য করে।

শক্তি বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত জল পান করাও অত্যন্ত জরুরি। শরীরে জলের অভাব হলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হয়। সারাদিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল পান করা উচিত। এছাড়াও, তাজা ফলের রস, নারকেলের জল এবং ভেষজ পানীয় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

জীবনযাত্রায় পরিবর্তন জরুরি

ভিটামিন এবং পুষ্টির পাশাপাশি, ভাল ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগব্যায়ামও শরীরকে উদ্যমী রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে পুনরুদ্ধারের সময় দেয় এবং বিপাক ক্রিয়া সঠিক রাখে। অন্যদিকে, হালকা ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং ক্লান্তি কমায়।

Leave a comment