শুভেন্দু অধিকারী মামলা: কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। এই মামলাগুলি ২০২১ সালের ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ের একটি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা এবং তাঁর ভাই পৃথকভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত জানিয়েছে, ১১ নভেম্বরের মধ্যে পুলিশকে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে এবং মূল অভিযোগকারীকে নোটিস পাঠাতে হবে।

হাইকোর্টে রাজ্যের আশ্বাস
কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির সময় রাজ্যের তরফে জানানো হয়, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে না। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, মামলার পরবর্তী শুনানির আগে অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনা জরুরি। আদালত জানায়, তার পরেই রক্ষাকবচ দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বেঞ্চ।
চার মামলায় তদন্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ
রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ও কলকাতার বেলেঘাটা থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্ত আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আদালতও জানায়, ১১ নভেম্বর এই দু’টি মামলার কেস ডায়েরি আদালতে হাজির করতে হবে। ফলে এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারী ওই মামলাগুলিতে সাময়িক স্বস্তি পেলেন।

বিরবাহা হাঁসদার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা
২০২১ সালে ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নামে কটূ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই বিরবাহা ও তাঁর ভাই পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগগুলিই এখন বিচারাধীন, এবং রাজ্য আদালতে জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলবে কিন্তু এখনই কোনও পদক্ষেপ নয়।
রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন
হাইকোর্টে রাজ্যের এই বক্তব্য ঘিরে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। শাসক দলের দাবি, আইনের গতি মেনেই এগোচ্ছে মামলা। অন্যদিকে, বিরোধীদের মতে, রাজ্য প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে শুভেন্দুকে রক্ষা করছে। শুভেন্দু নিজে অবশ্য বলেছেন, এই মামলাগুলি নিছক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।

কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। এসসি–এসটি আইনে দায়ের হওয়া চারটি মামলায় তিনি সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন। আদালত আগামী ১১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে।












