নিউ টাউনে শুরু ইলিশ-চিংড়ি উৎসব
উত্তর ২৪ পরগনার নিউ টাউনে শুরু হয়েছে বাঙালির চিরন্তন রসনা-দ্বন্দ্বকে ঘিরে এক অনন্য উৎসব। ইলিশ না চিংড়ি— কে সেরা, সেই লড়াইয়ের মঞ্চ এবার খাবারের পাত। উৎসব শুরু হওয়ার পর থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন খাদ্যরসিকেরা। ইকো আইল্যান্ডে অবস্থিত ‘ক্যাফে একান্তে’-তে চলছে এই বিশেষ উৎসব, যেখানে এক ছাদের নীচে পাওয়া যাচ্ছে দুই প্রিয় স্বাদের বৈচিত্র্যময় রূপ।
ফুটবল মাঠ ছেড়ে খাবারের প্লেটে লড়াই
ইলিশ-চিংড়ির লড়াই নিয়ে বাঙালির আবেগ যেন ফুটবল মাঠের খেলার সমান জনপ্রিয়। এবার সেই উত্তেজনা চলে এসেছে রান্নার জগতে। আয়োজনকারীদের দাবি, দর্শকদের কৌতূহলই প্রমাণ করছে কতটা জনপ্রিয় এই থিম। শুধু খাবারের স্বাদ নয়, পরিবেশনা ও উৎসবের আবহ পুরো নিউ টাউনকে রঙিন করে তুলেছে।
ইলিশ প্রেমীদের জন্য ১৫ রকম পদ
যাঁরা ইলিশের ভক্ত, তাঁদের জন্য থাকছে প্রায় ১৫ রকম পদ। মেনুতে রয়েছে স্মোকড ইলিশ, কলাপাতায় ভাজা ইলিশ, ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ রোস্ট, ইলিশ চপ, চালকুমড়ো-ইলিশ, এমনকি বেগুন ও তেতুলপাতা দিয়ে বানানো অভিনব রেসিপিও। এত বৈচিত্র্য একসঙ্গে মেলা সত্যিই বিরল, যা খাদ্যরসিকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে।
চিংড়ির আসরে সমান জমজমাট আয়োজন
ইলিশের পাশাপাশি চিংড়ি প্রেমীদের জন্যও রয়েছে একগুচ্ছ লোভনীয় পদ। চিংড়ি চপ, চিংড়ি রোল, ভাপা চিংড়ি, চিংড়ি বিরিয়ানি থেকে শুরু করে নানা রকম ভর্তা— সবই রয়েছে তালিকায়। আয়োজকদের কথায়, চিংড়ির মশলাদার বৈচিত্র্য ইতিমধ্যেই অনেকের মন জয় করে নিয়েছে।
প্রতিদিন বাড়ছে ভিড়, জমজমাট পরিবেশ
উৎসব শুরুর পর থেকেই প্রতিদিন বাড়ছে ভিড়। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি চলেছে আড্ডা, ছবি তোলা আর উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। আয়োজকদের দাবি, ইলিশ-চিংড়ির স্বাদ ঘিরে তৈরি হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ, যা নিউ টাউনের আবহকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
শেষ দিন ৩১ অগস্ট, বুকিংয়ের প্রয়োজন নেই
আয়োজনকারীরা জানিয়েছেন, এই উৎসব চলবে আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত। ক্যাফে একান্তে-র ম্যানেজার স্নেহাশিস সিনহা জানিয়েছেন, টেবিল বুকিংয়ের জন্য কোনও অগ্রিম প্রয়োজন নেই। ক্রেতারা এসে নিজেদের মতো করে খাবার বেছে নিতে পারবেন। ফলে হঠাৎ করেই ইচ্ছে হলে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঢুঁ মেরে যাওয়া যায় এই উৎসবে।
খাদ্যরসিকদের জন্য বিশেষ নিমন্ত্রণ
যাঁরা এখনো যাননি, তাঁদের জন্য রইল বিশেষ নিমন্ত্রণ। ইলিশ-চিংড়ির এই রসনাতৃপ্তি পেতে চাইলে চলে আসুন ইকো আইল্যান্ড, ক্যাফে একান্তে, নিউ টাউনে। আয়োজনকারীদের বিশ্বাস, এই উৎসব বাঙালির খাদ্যসংস্কৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং ইলিশ বনাম চিংড়ির চিরন্তন লড়াইকে আবারও নতুনভাবে জনপ্রিয় করে তুলবে।