IIM Calcutta-তে ধর্ষণের অভিযোগ ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে অচৈতন‍্য করে যৌন হেনস্তা !

IIM Calcutta-তে ধর্ষণের অভিযোগ ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে অচৈতন‍্য করে যৌন হেনস্তা !
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সুরক্ষার অভাব? IIM-জোকার ছাত্র হোস্টেলে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কলকাতা শহরের অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান IIM Calcutta-র হোস্টেলে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর যৌন হেনস্তার ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র এক তরুণীকে বয়েজ হোস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অচৈতন‍্য করে ধর্ষণ করেছে। ঘটনায় গোটা শিক্ষাঙ্গন জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া।

ভিজিটর রেজিস্ট্রারেও নাম না! হোস্টেলের সিকিউরিটি ব্যবস্থায় বড় প্রশ্ন

অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁকে ছাত্র হোস্টেলে প্রবেশের সময় কোনও ভিজিটর রেজিস্ট্রারে সই করানো হয়নি। প্রশ্ন উঠছে—এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে বাইরের কেউ বয়েজ হোস্টেলে ঢুকল? প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগও উঠছে আইআইএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

ঠান্ডা পানীয়ের ফাঁদ! তরুণীর অভিযোগ, “জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম... তারপর…”

তরুণী জানিয়েছেন, হোস্টেলে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত তাঁকে ঠান্ডা পানীয় খাওয়ায়। এরপরই তাঁর শরীরে অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হয় এবং তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরে এলে বুঝতে পারেন, তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে।

সজ্ঞানে এসেই ছুটলেন থানায়, প্রথমে ঠাকুরপুকুর, পরে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের

জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পরে তরুণী প্রথমে যান ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঠাকুরপুকুর থানায়। পরে তাঁকে পাঠানো হয় হরিদেবপুর থানায়, যেখানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

হোস্টেল নিরাপত্তায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন! শিক্ষাঙ্গনে ফের ‘কসবা কাণ্ড’-এর পুনরাবৃত্তি?

সম্প্রতি কসবা অঞ্চলেও এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার আঁচ না মুছতেই এবার জোকার মতো খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ঘটল এমন ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে, শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আদৌ কি ছাত্রীরা নিরাপদ?

তদন্তে নেমেছে পুলিশ, নজরে CCTV, ভিজিটর লগ এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট

হরিদেবপুর থানার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যে হোস্টেলের CCTV ফুটেজ এবং প্রবেশপথের ভিজিটর লগ খতিয়ে দেখছে। তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। আইআইএম কলকাতা কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

সারসংক্ষেপে—প্রশ্ন একটাই, নামী প্রতিষ্ঠান বললেই কি দায়মুক্তি সম্ভব?

একটি শিক্ষাঙ্গনে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা থাকা উচিত সর্বাগ্রে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা শুধু আইনি দিক থেকে নয়, নৈতিকভাবেও উদ্বেগের। কীভাবে হোস্টেলে প্রবেশ, ভিজিটর লগ এড়িয়ে এত বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে—তা নিয়েই প্রশ্নে পড়েছে আইআইএম কলকাতা।

Leave a comment