ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটস আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হুমকির বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অপারেশন রাইজিং লায়ন-এর পর ইরান পাল্টা হামলা চালায়। ১২ দিনের যুদ্ধের পর ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়।
Isreal-Iran: ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এখন একটি নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটস ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সরাসরি এবং তীব্র ভাষায় সতর্ক করেছেন। মন্ত্রী রেমন এয়ার বেস থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে, খামেনি যদি ইহুদি রাষ্ট্রকে হুমকি দেওয়া জারি রাখেন, তবে এইবার জবাব আগের চেয়েও কঠোর এবং ব্যক্তিগত স্তরে হবে। তিনি বলেন, আমাদের হাত এইবার ইরানের দিকে আবারও পৌঁছবে এবং সেটা আরও বেশি শক্তি দিয়ে। এই বিবৃতিকে পশ্চিম এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্যের দিকে একটি निर्णायक মোড় হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
অপারেশন রাইজিং লায়ন: ইরানের সামরিক কাঠামোর উপর সরাসরি আঘাত
১৩ জুন শুরু হওয়া অপারেশন রাইজিং লায়ন-এর অধীনে ইজরায়েল ইরানের পারমাণবিক এবং সামরিক পরিকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই হামলা ইজরায়েলি বায়ুসেনা দ্বারা গোপনে চালানো হয়, যেখানে তেহরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। এই অপারেশন নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েলি বায়ুসেনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, আপনারা সবাই সেই কাজ করে দেখিয়েছেন যা অসম্ভব মনে করা হচ্ছিল। আপনারা ইরানের জন্য আকাশ খুলে দিয়েছেন এবং ধ্বংসের বিপদ সময় থাকতে শেষ করে দিয়েছেন।
খামেনিকে ব্যক্তিগত হুঁশিয়ারি
কাটস তাঁর ভাষণে খামেনিকে সরাসরি সতর্ক করে বলেন যে, এতদিন আপনি যা করেছেন, তা উপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখন ইজরায়েল চুপ করে থাকবে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, যদি হুমকি দেওয়া জারি থাকে, তবে পরবর্তী পদক্ষেপ সরাসরি খামেনিকে লক্ষ্য করে নেওয়া হবে। কাটসের এই বয়ান বুঝিয়ে দেয় যে, ইজরায়েল এখন শুধু প্রত্যাঘাত করবে না, বরং হামলার রণনীতি আগে থেকেই তৈরি রাখবে।
ইরানের জবাব: অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩
ইজরায়েলি অপারেশনের জবাবে ইরান অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩ শুরু করে। এই অভিযানের অধীনে দুই দেশের মধ্যে ১২ দিন ধরে সংঘর্ষ চলে। এই সংঘর্ষে ভারী সামরিক কার্যকলাপ দেখা যায়। আমেরিকার মধ্যস্থতার পর ২৫ জুন যুদ্ধবিরতি হয়। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সক্রিয় ভূমিকার পর এই অস্থায়ী শান্তি স্থাপিত হয়েছে, তবে উত্তেজনা এখনও বজায় রয়েছে।
আমেরিকা খামেনির অবস্থান সম্পর্কে অবগত ছিল
এই পুরো ঘটনা চলাকালীন মার্কিন কর্মকর্তারা বড়ো একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন যে, আমেরিকা খামেনির লোকেশন সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত ছিল। এমনকি ইজরায়েল দ্বারা তাঁর বিরুদ্ধে চালানো হত্যা করার পরিকল্পনাকে আমেরিকা অনুমোদন দেয়নি। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নিজে হস্তক্ষেপ করে সেই পরিকল্পনা বন্ধ করেন। ট্রাম্পের মতে, কোনো নেতার হত্যা করা কূটনৈতিকভাবে ভুল সংকেত দিতে পারে এবং এর থেকে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে।