এপস্টেইন কেস নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, দলের উপর অসন্তোষ

এপস্টেইন কেস নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, দলের উপর অসন্তোষ

ডোনাল্ড ট্রাম্প এপস্টেইন কেস নিয়ে নিজের দলের উপরই ক্ষুব্ধ। প্রশাসনের ঢিলেঢালা ভাব দেখে তিনি বিরক্ত, কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হোক, তা তিনি চান না। তাই কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি ইচ্ছুক নন।

Epstein Files News: আমেরিকায় আবারও জেফরি এপস্টেইন কাণ্ড আলোচনার কেন্দ্রে, এবং এইবার এর আঁচ সরাসরি রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত পৌঁছেছে। ২২ বছর পুরোনো একটি ঘটনা মার্কিন রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যৌন অপরাধী এবং হাই প্রোফাইল ফিনান্সার জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে কথিত সম্পর্ক নিয়ে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প অস্বস্তিতে রয়েছেন। ট্রাম্প এই বিষয়ে অত্যন্ত হতাশ যে তার প্রশাসন এই বিষয়টিকে কার্যকরীভাবে সামলাতে পারছে না।

ট্রাম্পের অসন্তোষ, কিন্তু বরখাস্ত নয়

ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প তার প্রশাসনের ওপর এই বিষয়ে অসন্তুষ্ট যে তারা এপস্টেইন মামলাটি যেভাবে সামলাচ্ছে। যদিও, বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ট্রাম্প আপাতত কোনো শীর্ষ আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার মুডে নেই, কারণ এতে বিতর্ক আরও বাড়তে পারে। ট্রাম্প চান না এই বিষয়টি আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ুক।

বিতর্কের কেন্দ্র: অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি

এই বিতর্কে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি আলোচিত। বলা হয়েছে যে ৪ জুলাইয়ের ছুটির সময় বন্ডি, তার ডেপুটি এবং এফবিআই আধিকারিকরা এপস্টেইন সংক্রান্ত একটি ফাইলের ওপর স্বাক্ষর না করেই একটি মেমোরেন্ডাম অনুমোদন করেন। এই মেমোরেন্ডামটিই একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

মেমোরেন্ডামে কী ছিল বিশেষ

এই মেমোরেন্ডামে দাবি করা হয়েছে যে ট্রাম্প প্রশাসন এপস্টেইনের মৃত্যু হত্যা ছিল, এমন কোনো প্রমাণ পায়নি। একইসঙ্গে এও বলা হয়েছে যে তাদের কাছে কোনো "ক্লায়েন্ট তালিকা" নেই, যার দ্বারা অন্য কারও বিরুদ্ধে মামলা চালানো যেতে পারে। মেমোরেন্ডামে এই যুক্তিও দেওয়া হয়েছে যে, ক্ষতিগ্রস্থদের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য ভবিষ্যতে কোনো নথি প্রকাশ করা হবে না।

ট্রাম্পের আইনি আক্রমণ: ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে মামলা

মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। ট্রাম্প এই সংবাদ সংস্থার কাছে ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে।

এপস্টেইন কে ছিলেন এবং কেন এই মামলা গুরুতর

জেফরি এপস্টেইন ছিলেন একজন হাই প্রোফাইল বিনিয়োগকারী এবং অপরাধী, যাকে ২০১৯ সালে চাইল্ড সেক্স ট্র্যাফিকিংয়ের মতো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মৃত্যু জেলখানায় সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে হয়েছিল, যা আমেরিকাতে এখনও পর্যন্ত রহস্যময় বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে তার ক্লায়েন্টদের মধ্যে অনেক বিশ্ব নেতা, শিল্পপতি এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন।

Leave a comment