জয়সলমেরে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের ৪ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

জয়সলমেরে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের ৪ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

রবিবার রাজস্থানের জয়সলমের জেলার পোখরান থানা এলাকার নই মাঙ্গোলাই গ্রামে এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো গ্রাম শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। গ্রামের বাসিন্দা হজুর খানের চার নিষ্পাপ শিশু—আহমেদ (১২), রিজওয়ান (১০), শাহনাজ (৮) এবং তার ছোট বোন—পুকুরে ডুবে যায়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনাটি ঘটে যখন চার শিশু দুপুরে বাড়ির কাছে খেলতে খেলতে গ্রামের নাড়ি (স্থানীয় পুকুর)-এর দিকে চলে যায়।

খেলতে খেলতে পৌঁছে গেল পুকুরে

পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে যখন সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুরা বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং গ্রামের পুকুরের কাছে পৌঁছালে সেখানকার দৃশ্য দেখে তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। চার শিশুই পুকুরের পানিতে ডুবে ছিল। গ্রামবাসীদের সহায়তায় শিশুদের উদ্ধার করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে পোখরানের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।

হাসপাতালে উপস্থিত ডাক্তাররা চার শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। একসঙ্গে চার নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যুতে পরিবারটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। মা-বাবার কান্নাকাটি করে খারাপ অবস্থা এবং হাসপাতালে উপস্থিত প্রত্যেক ব্যক্তির চোখ অশ্রুসজল ছিল।

একই পরিবারের চার জনের শবযাত্রা

ডুবে যাওয়া শিশুরা সবাই একই পিতা হজুর খানের সন্তান ছিল। দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের অকাল প্রয়াণ পুরো পরিবারকে গভীর শোকের মধ্যে ফেলেছে। একসঙ্গে চারটি শবযাত্রা পুরো গ্রামের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক মুহূর্ত ছিল। গ্রামের গলিতে শোকের নীরবতা নেমে আসে এবং সর্বত্র শুধু ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।

স্থানীয়দের মতে, গ্রামে এমন ট্র্যাজেডি আগে কখনো দেখা যায়নি। শিশুদের নিষ্পাপতা এবং আকস্মিক এই দুঃখজনক মৃত্যু পুরো এলাকাকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে

দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই মহকুমা আধিকারিক লাখারাম চৌধুরী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট প্রবীণ কুমার সাইন দ্রুত পোখরান হাসপাতালে পৌঁছান। তিনি ঘটনার পুরো বিবরণ নেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতাল চত্বরে এরই মধ্যে গ্রামবাসীদের ভিড় জমেছিল, যারা এই দুর্ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ছিল।

কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে ঘটনার প্রতিটি দিক থেকে তদন্ত করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a comment