কানপুরে পিআরভি-তে মোতায়েন এক কনস্টেবল এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করেছে, যার পর ক্ষুব্ধ তরুণীটি ওই কনস্টেবলের উর্দি ছিঁড়ে দেয়। ঘটনাটি সামনে আসার পর পুলিশ অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে সাসপেন্ড করেছে।
কানপুর: পুলিশের উর্দিকে কলঙ্কিত করার মতো একটি ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ রেসপন্স ভেহিকেল (পিআরভি)-এ মোতায়েন এক কনস্টেবল এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করেছে, যার পর তরুণীটি ঘটনাস্থলেই সাহস দেখিয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে উচিত শিক্ষা দেয়। মহিলাটির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেপ্তার ও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পিআরভি কনস্টেবলের অপকর্মে ক্ষুব্ধ তরুণী
ঘটনাটি বুধবার দুপুরের, যখন জিটি রোড নাহারিয়ার কাছে বসবাসকারী এক তরুণী তার কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিল। এই সময় নজিরাবাদ থানায় মোতায়েন পিআরভি নম্বর ৪৭৩১-এর কনস্টেবল প্রগেশ তরুণীটিকে থামিয়ে অভদ্রতা করে। অভিযোগ, কনস্টেবল তার হাত ধরে অশ্লীল আচরণ করে, যার ফলে তরুণীটি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং তীব্র প্রতিবাদ করে।
ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ তরুণীটি কনস্টেবলের কলার ধরে, এবং প্রকাশ্য সড়কেই তাকে টেনে-হিঁচড়ে উচিত শিক্ষা দেয়। এই সময় অভিযুক্তের উর্দিও ছিঁড়ে যায়। ভিড় জমে গেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য পুলিশকর্মীরা দুজনকে আলাদা করে, এবং অভিযুক্ত কনস্টেবলকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সাহসী তরুণীর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
এই পুরো ঘটনা চলাকালীন তরুণীটি কেবল প্রতিবাদই করেনি, ভিডিওটিও তৈরি করে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে তরুণীটি কনস্টেবলকে বকাঝকা করতে করতে বলছে — “এ আমার সাথে অভদ্রতা করেছে, আমার নম্বর চাইছিল।” ঘটনাটি দেখতে পাওয়া লোকেরাও তরুণীর সাহসের প্রশংসা করেছে।
সূত্র অনুযায়ী, অভিযুক্ত কনস্টেবল বারবার ক্ষমা চাইতে থাকে, কিন্তু তরুণীটি তার একটি কথাও শোনেনি এবং বলে যে “এবার তোমার চাকরি যাবে।” ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মোড়ে মোতায়েন পুলিশকর্মীরা অভিযুক্তকে অবিলম্বে হেফাজতে নেয়।
বিভাগীয় তদন্ত ও বরখাস্তের পদক্ষেপ
ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই এসিপি স্বরূপ নগর সুমিত সুধাকর রামটেক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় পৌঁছান। নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়। পুলিশ কমিশনার কঠোর অবস্থান নিয়ে বলেছেন যে উর্দি পরে এ ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে যে বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করা হবে এবং দোষীকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।













