কন্যা সংক্রান্তি ২০২৫: ১৭ সেপ্টেম্বর সূর্য প্রবেশ, কোন রাশির জন্য শুভ?

কন্যা সংক্রান্তি ২০২৫: ১৭ সেপ্টেম্বর সূর্য প্রবেশ, কোন রাশির জন্য শুভ?

কন্যা সংক্রান্তি ২০২৫ পালিত হবে ১৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার, সকাল ০৭:৩২ মিনিটে সূর্য কন্যা রাশিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে। এই সময় দান, স্নান, তর্পণ এবং পিতৃ শান্তির জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই সংক্রান্তি থেকে ধনু, মীন এবং বৃষ রাশির জাতকরা বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন।

কন্যা সংক্রান্তি ২০২৫: হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার, সকাল ০৭:৩২ মিনিটে সূর্য কন্যা রাশিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কন্যা সংক্রান্তি পালিত হবে। এই সংক্রান্তি পিতৃপুরুষের শান্তি, দান-পুণ্য এবং আধ্যাত্মিক শুদ্ধির জন্য বিশেষ বলে মনে করা হয়। এই দিনে স্নান, দান, সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন এবং পিতৃ তর্পণের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্যের এই গোচর ধনু, মীন এবং বৃষ রাশির জাতকদের জন্য লাভজনক হবে, অন্যদিকে মিথুন এবং তুলা রাশির জাতকদের ধৈর্য ধারণ করার প্রয়োজন হবে।

কন্যা সংক্রান্তির ধর্মীয় তাৎপর্য

কন্যা রাশি জ্ঞান, ধর্ম, সেবা এবং কর্মের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। যখন সূর্য দেব এই রাশিতে প্রবেশ করেন, তখন এটিকে পিতৃপুরুষের শান্তি এবং দান-পুণ্যের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময় বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে এই সময়ে করা প্রতিটি ভালো কাজের অপরিসীম ফল পাওয়া যায়। এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এই দিনে সূর্য দেব পিতৃলোকের দ্বার উন্মুক্ত করেন এবং পিতৃপুরুষরা তাঁদের বংশধরদের কাছ থেকে তর্পণ এবং শ্রাদ্ধের আশা করেন।

কন্যা সংক্রান্তি ২০২৫-এর সময়

সূর্য দেবের কন্যা রাশিতে প্রবেশ হবে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সকাল ০৭ টা বেজে ৩২ মিনিটে। এই সময় থেকেই সংক্রান্তির পুণ্যকাল শুরু হবে। এই কালে স্নান, দান, জপ এবং তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়েছে। ভক্তরা সকালে গঙ্গা জল বা কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে দান-পুণ্য করেন।

পূজা পদ্ধতি এবং বিশেষ উপায়

এই দিন সকালে স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করা উচিত। গঙ্গা জল মিশিয়ে স্নান করা শুভ বলে মনে করা হয়। স্নানের পর দরিদ্র ও অভাবী ব্যক্তিদের খাদ্য, তিল, বস্ত্র এবং দক্ষিণার দান করা শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়।

সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তামার পাত্রে জল নিয়ে তাতে লাল ফুল, অক্ষত এবং গুড় মিশিয়ে সূর্য দেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এর ফলে সূর্য দেব প্রসন্ন হন এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।

পিতৃ তর্পণেরও এই দিনে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শ্রাদ্ধ কর্ম, पिंडदान এবং তর্পণ করলে পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি মেলে এবং তাঁদের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।

এই দিন মন্ত্র জপ এবং ধ্যানও বিশেষ ফলপ্রসূ হয়। 'ওঁ ঘৃণি সূর্যায় নমঃ' মন্ত্র জপ করলে সূর্য দেবের কৃপা লাভ হয় এবং পিতৃ শান্তির প্রাপ্তি হয়।

জ্যোতিষীয় প্রভাব

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্যের কন্যা রাশিতে প্রবেশের ফলে বিভিন্ন রাশির উপর বিশেষ প্রভাব পড়তে চলেছে। ধনু, মীন এবং বৃষ রাশির জাতকদের জন্য এই সময় লাভজনক প্রমাণিত হবে। চাকরিজীবীরা নতুন সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায়ীদের আর্থিক লাভের সম্ভাবনা থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্যের যোগ রয়েছে।

অন্যদিকে, মিথুন এবং তুলা রাশির জাতকদের এই সময়ে ধৈর্য এবং সংযম বজায় রাখার প্রয়োজন হবে। তাঁদের জন্য এই সময়টি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কন্যা সংক্রান্তির এই পরিবর্তন কেবল গ্রহ অবস্থানের পরিবর্তন নয়, বরং এটি পিতৃপুরুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধর্ম পালনের এক বিশেষ সময়।

পিতৃ কৃপার বিশেষ সুযোগ

কন্যা সংক্রান্তির দিন স্নান, দান, তর্পণ এবং পূজা-পাঠ করলে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে করা পুণ্য কর্ম জীবনের বাধা দূর করতে সহায়ক হয়। এই সময় আত্মশুদ্ধি এবং পিতৃ ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।

Leave a comment