কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

কর্ণাটকে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া এবং ডি.কে. শিবকুমারের মধ্যে আবারও মতভেদ প্রকাশ্যে এসেছে। মহীশূরে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডেপুটি সিএমের নাম নিতে অস্বীকার করেন।

Karnataka Politics: কর্ণাটকের রাজনীতিতে আবারও কংগ্রেস পার্টির দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে মতভেদ প্রকাশ্যে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমারের মধ্যে দূরত্ব এখন খোলাখুলিভাবে সামনে আসতে শুরু করেছে। সম্প্রতি মহীশূরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সিদ্দারামাইয়া মঞ্চ থেকে শিবকুমারের নাম নিতে স্পষ্ট অস্বীকার করেন। এই ঘটনার পর কংগ্রেসের অভ্যন্তরে আবারও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের আলোচনা জোরদার হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আসা উত্তেজনা

শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে মহীশূরে কংগ্রেস সরকারের কৃতিত্ব তুলে ধরার উদ্দেশ্যে 'সাধনা সমাবেশ' নামক একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। যখন একজন কংগ্রেস নেতা ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁকে ডি.কে. শিবকুমারের নাম নেওয়ার পরামর্শ দেন, তখন তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

সিদ্দারামাইয়া মঞ্চ থেকে বলেন, "ডি.কে. শিবকুমার এই মুহূর্তে ব্যাঙ্গালোরে আছেন, তিনি এখানে উপস্থিত নেই। আমরা কেবল তাঁদেরকেই স্বাগত জানাই যাঁরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন। যাঁরা বাড়িতে আছেন, তাঁদের আমরা কীভাবে নমস্কার জানাব?"

সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ এবং রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ

মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমারের সমর্থকেরা গভীরভাবে অসন্তুষ্ট। দলের কিছু বর্ষীয়ান নেতা এটিকে অত্যন্ত অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেছেন। এক ঘনিষ্ঠ নেতা বলেছেন, "যদি ডি.কে. শিবকুমার দলের জন্য পরিশ্রম না করতেন, তাহলে কংগ্রেস পুনরায় ক্ষমতায় আসত না। অন্তত মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর নাম নেওয়া উচিত ছিল।"

এই প্রথম নয় যে দুই নেতার মধ্যে উত্তেজনার খবর এসেছে। কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন যে শিবকুমারের পার্টিতে প্রভাব সীমিত এবং শুধুমাত্র কয়েকজন বিধায়কই তাঁর সঙ্গে আছেন। এই বিবৃতির পর থেকেই দুই নেতার মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে।

Leave a comment