কসবা গণধর্ষণ মামলায় নয়া মোড়

কসবা গণধর্ষণ মামলায় নয়া মোড়

কসবা আইন কলেজের চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলায় এবার তদন্তে যুক্ত হল এক নতুন পদক্ষেপ। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তাঁর দুই সহযোগী জইব ও প্রমিতের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করায়, এবার কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ জোরদার করার পথে হাঁটছে তদন্তকারীরা।

ফরেন্সিক রিপোর্টে মিলল সূত্র

পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অডিও ক্লিপ ও কথোপকথনের রেকর্ড মিলেছে। সেই অডিওর সঙ্গে কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ। পুলিশের ধারণা, এই প্রমাণ মামলার গতিপথে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

২২ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজত

এদিকে, চার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করার পর আলিপুর আদালত ২২ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তকারীদের হাতে এই সময়ে আরও প্রমাণ জোগাড় করার সুযোগ তৈরি হল। মামলার গতি বাড়াতে এই সময়টিকে কাজে লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে লালবাজার।

ঘটনার দিন কী ঘটেছিল

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কসবা আইন কলেজের ইউনিয়ন রুম ও রক্ষীর ঘরের মধ্যেই কলেজের এক পড়ুয়ার উপর ঘটে এই নৃশংস নির্যাতন। পরদিনই সাহস করে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয় এবং গ্রেফতার করা হয় মনোজিৎ-সহ একাধিক অভিযুক্তকে।

ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

নির্যাতিতার দাবি, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত পৌনে ১১টার মধ্যে কলেজ চত্বরে তাঁর উপর চলেছিল এই অত্যাচার। অভিযুক্ত মনোজিৎ প্রথমে কলেজের সামনে থেকে তাঁকে ভয় দেখিয়ে ইউনিয়ন রুমে নিয়ে যান। হকি স্টিক দিয়ে মারধরের হুমকি দিয়ে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।

পুলিশি তদন্তে জোরদার তৎপরতা

পুরো ঘটনায় ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। কণ্ঠস্বর নমুনা, ফরেন্সিক রিপোর্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান—সব মিলিয়ে মামলাকে আরও পোক্ত করার চেষ্টা করছে তদন্তকারী দল। পুলিশের আশা, এই প্রমাণগুলো আদালতে উপস্থাপন করলে অভিযুক্তদের সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

Leave a comment