কিডনি সুরক্ষা: ঘুম ভাঙার পরেও প্রস্রাব চেপে রাখা বা খালি পেটে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া—এসব সাধারণ অভ্যাস কিডনির জন্য বিপজ্জনক। চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস চললে কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। পাশাপাশি জল না খাওয়া, শরীর আর্দ্র না রাখা ও সকালের জলখাবার এড়ানোও কিডনির ওপর চাপ ফেলে। সুতরাং দৈনন্দিন জীবনে কিছু ছোটখাট সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।
ঘুম ভাঙার পর জল না খাওয়া
রাতের দীর্ঘ বিরতির পর শরীর এবং কিডনি প্রায় জলশূন্য অবস্থায় থাকে। অনেকেই খালি পেটে চা বা কফি পান করেন, যা শরীর আরও ডিহাইড্রেটেড করে এবং কিডনির ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ায়। সকালের জল গ্রহণ কিডনিকে পুনরায় কার্যক্ষম রাখে।
প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকা
অনেকেই ঘুম ভাঙার সময় প্রস্রাব করতে তাড়াহুড়ো করেন না। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, রাতভর মূত্রাশয় ভর্তি থাকলে তা প্রসারিত হয় এবং কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে। তাই ঘুম ভাঙলেই প্রস্রাব খালি করা উচিত।
খালি পেটে পেনকিলার খাওয়া
ব্যথানাশক ওষুধ খালি পেটে খেলে কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
শরীর আর্দ্র রাখা জরুরি
শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পর ঘাম এবং খনিজ পদার্থ বের হয়। জল খাওয়ার মাধ্যমে শরীর পুনর্সঞ্চারিত হয় এবং কিডনি থেকে টক্সিন দূর হয়। এটি ডিহাইড্রেশনজনিত সমস্যা প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
সকালের জলখাবার না খাওয়া
সকালের জলখাবারে প্রোটিন, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ব্যালান্সড ডায়েট গ্রহণ কিডনিকে অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা করে। এনার্জি বজায় রাখে এবং শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য নিশ্চিত করে।
দৈনন্দিন ছোট অভ্যাসেই কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে। ঘুম ভাঙলেও প্রস্রাব চেপে রাখা, খালি পেটে পেনকিলার খাওয়া বা জল না খাওয়া—এসব অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে কিডনির ক্ষতি করতে পারে। সহজ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মেনে চললে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব।