উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেত্রী কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-ম্যুং-এর শান্তি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন যে উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রস্তাব বা আলোচনায় কোনো আগ্রহ নেই।
World: উত্তর কোরিয়া আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে কোনো ধরনের আলোচনায় আগ্রহী নয়। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-ম্যুং-এর সরকার সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়াকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পরেই এই প্রতিক্রিয়া এসেছে। তবে, উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
কিম ইয়ো জং-এর কঠোর বক্তব্য
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন এবং শীর্ষ আধিকারিক কিম ইয়ো জং সোমবার একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেছেন। তিনি বলেন যে উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো ধরনের প্রস্তাবে কোনো আগ্রহ নেই। তার বক্তব্য ছিল- "দক্ষিণ কোরিয়ায় যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক এবং তারা যে নীতি বা প্রস্তাবই আনুক না কেন, উত্তর কোরিয়ার তাদের সাথে দেখা করার, কথা বলার বা আলোচনা করার মতো কোনো বিষয় নেই।"
আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ের প্রতি কঠোর মনোভাব
কিম ইয়ো জং-এর মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে উত্তর কোরিয়া তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার সাথে নিকট ভবিষ্যতে কোনো ধরনের কূটনৈতিক আলোচনায় আগ্রহী নয়। এই মনোভাব আগের চেয়েও কঠোর এবং স্পষ্ট। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক চেষ্টার পরেও উত্তর কোরিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার অগ্রাধিকার এখন রাশিয়া
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত অগ্রাধিকার হল রাশিয়ার সাথে তাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সাথে সহযোগিতা বাড়িয়েছে। প্রতিরক্ষা চুক্তি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং রাজনৈতিক জোটের মতো ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ভবিষ্যতে রাশিয়ার সাথে এই সম্পর্ক দুর্বল হয়ে গেলে, উত্তর কোরিয়া তাদের বিদেশ নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।
লি জে-ম্যুং-এর উদ্যোগে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-ম্যুং জুন ২০২৫-এ पदभार গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং এর জন্য কিছু কৌশলগত প্রস্তাবের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিম ইয়ো জং-এর এই বক্তব্য তার উদ্যোগে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে আসা প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া, যা সম্পূর্ণরূপে নেতিবাচক।