কলকাতা: মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বর্ষণ ও জমা জলের কারণে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়। জলাবদ্ধতার মধ্যেই ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার। নেতাজিনগরে এক সাইকেল আরোহী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রধান বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের নেতৃত্বে রাজ্য, পুরসভা ও CESC-এর কাছে রিপোর্ট তলব করেছে।
ঘটনার বিস্তার ও প্রভাব
শহরের ধারে ধারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটেছে। কালিকাপুর, বালিগঞ্জ প্লেস, বেনিয়াপুকুর এবং ইকবালপুরে এমন ঘটনা দেখা গেছে। কয়েকটি স্থানে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে জলাবদ্ধতার কারণে সমস্যাও দেখা দিয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশনা
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে:
রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ ও ক্যানেল সংস্কার সংক্রান্ত পদক্ষেপের রিপোর্ট দিতে হবে।
কলকাতা পুরসভা ও CESC কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানাতে হবে।
রিপোর্ট জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ নভেম্বর।
মেয়র ও সরকারের প্রতিক্রিয়া
ইকবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত জিতেন্দ্র সিংয়ের বাড়িতে মেয়র পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। দুই ছেলের পড়াশোনা ও চাকরির দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও বিপদে পরিবারের পাশে থাকবে সরকার।
Calcutta High Court: কলকাতায় ভারী বর্ষণ ও জমা জলের কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকার, পুরসভা ও CESC-এর কাছে স্বতঃপ্রণোদিত রিপোর্ট তলব করেছে। ৭ নভেম্বর রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।