জুলাই মাস পড়তেই বর্ষার ঢল নামল কলকাতায়। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাত্র প্রথম ৯ দিনেই হয়ে গিয়েছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নির্ধারিত বৃষ্টিপাত। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরে রেকর্ড হয়েছে ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি। অথচ গোটা মাসে বৃষ্টির সম্ভাব্য পরিমাণ ৩৯৬.১ মিলিমিটার। অর্থাৎ মাসের শুরুতেই বৃষ্টির খাতা অনেকটাই পূর্ণ।
আজ থেকে খানিক স্বস্তি, বৃষ্টির দাপট কমার ইঙ্গিত
বৃহস্পতিবার থেকে কিছুটা বিরতি নিতে পারে বর্ষা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু’দিনে শহরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ থাকবে মেঘলা হলেও, জলধারা নামার সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ। তবে এমন থমথমে আবহাওয়ার মধ্যেও গরম ও ঘাম দুটোই সমানে চলবে বলে পূর্বাভাস।
আলিপুর বলছে, সপ্তাহান্তেই ফের ভিজতে পারে শহর
আবহাওয়াবিদ এইচ আর বিশ্বাস জানান, ‘বাংলায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাই ও অগস্টে। তাই এই বৃষ্টি এখনও শুরু মাত্র।’ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার থেকে ফের একবার বৃষ্টির তীব্রতা কমবে। তবে রবিবার আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তরের জেলাগুলিতে সতর্কতা
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপ। তার প্রভাবেই বিভিন্ন জেলায় নেমে এসেছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবারও উত্তর ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার তুলনায় হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়ায় আকাশ আরও ভারী থাকবে বলে আশঙ্কা।
আকাশ ‘মুখ ভার’, কিন্তু তাতেই মিশেছে স্বস্তি ও উদ্বেগ
যদিও বৃহস্পতিবার শহরের আকাশ বেশ গম্ভীর দেখাচ্ছে, তবু ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। একদিকে স্বস্তি যেমন মিলছে, অন্যদিকে জলজটে ভোগান্তির আশঙ্কাও কিছুটা কমেছে শহরবাসীর। তবে বর্ষার এই আচমকা উথাল-পাথাল এখনও শেষ হয়নি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
শেষ কথা: জুলাই-অগস্টে আরও চমক রাখছে বর্ষা
মাসের শুরুর রেকর্ড বৃষ্টির পরও আগামী সপ্তাহগুলোতে বৃষ্টি ফের জোরদার হতে পারে। বিশেষ করে অগস্টে পূর্বাভাস আরও জোরালো বর্ষার। ফলে শহরবাসীকে বর্ষাতেই সামলাতে হবে অফিসযাত্রা থেকে শুরু করে প্রতিদিনের জীবন।