মেঘে ঢাকা দুপুরেই ঝড়-বৃষ্টির হানা নিম্নচাপের দাপটে কাঁপবে কলকাতা-সহ তিন জেলা প্রস্তুত থাকুন

মেঘে ঢাকা দুপুরেই ঝড়-বৃষ্টির হানা নিম্নচাপের দাপটে কাঁপবে কলকাতা-সহ তিন জেলা প্রস্তুত থাকুন

রবিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশে জমেছে ঘন মেঘ। সূর্যের দেখা না মেলায় ভোর থেকে একধরনের স্নিগ্ধ শীতলতা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। হাওয়ার আনাগোনায় গরমের অস্বস্তিও কমেছে খানিকটা। আবহাওয়া দফতরের মতে, এই মেঘলা পরিস্থিতি প্রায় সারাদিন বজায় থাকবে, মাঝে মাঝে রোদ-মেঘের লুকোচুরি চলবে।

কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির ইঙ্গিত

আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুর বা বিকেলের দিকে কয়েক দফায় বৃষ্টি নামতে পারে শহরের উপর। বিশেষত উত্তর ও মধ্য কলকাতার কিছু এলাকায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সঙ্গে রাখুন ছাতা, বাইরে বেরোলে সাবধান

যাঁরা রবিবারের ছুটিতে বাইরে বেরোনোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য পরামর্শ—সঙ্গী হোক ছাতা কিংবা রেইনকোট। হঠাৎ বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিতে পারে যেকোনও সময়। শহরের নিম্নাঞ্চলগুলিতে অল্প বৃষ্টিতেই জমে যায় জল, তাই গাড়ি বা বাইক চালানোর সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

তাপমাত্রা থাকবে স্বস্তির সীমায়

কলকাতার রবিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ থাকবে কিছুটা বেশি, তবে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির কারণে গরমের দাপট খুব একটা অনুভূত হবে না। রাতে তাপমাত্রা নেমে আসবে প্রায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

কলকাতা যখন হালকা বৃষ্টিতে সিক্ত হওয়ার অপেক্ষায়, তখন উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল বর্ষণ। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ধস নামার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

নিম্নচাপের হাত ধরে বর্ষা আরও সক্রিয়

আবহাওয়াবিদদের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরির ইঙ্গিত মিলেছে। সেটি ধীরে ধীরে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলেই আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

পরিবহণে প্রভাব পড়তে পারে বৃষ্টির জেরে

ছুটির দিন হলেও শহর জুড়ে মেট্রো, বাস, ট্যাক্সি ও রাইড অ্যাপ ক্যাব পরিষেবায় বৃষ্টি প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে বিকেলের দিকে যদি জোরালো বৃষ্টি নামে, তবে রাস্তাঘাটে যানজট ও জল জমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেহালার মত এলাকায় অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, জল জমা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সার্বিক নজরে আবহাওয়া দপ্তর

আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে হাওয়া অফিস। নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে, সরকারি সতর্কতা ও আবহাওয়ার আপডেট নিয়মিত দেখে নেওয়ার জন্য। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা না থাকলেও স্থানীয় বৃষ্টি ও জলজটের জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।

Leave a comment