কুলগামে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান: আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে নিহত ২ জঙ্গি, আহত ৭ জওয়ান

কুলগামে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান: আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে নিহত ২ জঙ্গি, আহত ৭ জওয়ান

জম্মু ও কাশ্মীর-এর কুলগাম জেলায় সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান लगातार সপ্তম দিনেও जारी রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং সাত জন জওয়ান আহত হয়েছেন। এই অভিযানে ড্রোন, হেলিকপ্টারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

Jammu-Kashmir: কুলগাম জেলায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানটি এখন সপ্তম দিনে পড়েছে। এই অভিযানে দুই জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে, যেখানে সাত জন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন। এই অভিযানে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ড্রোন, হেলিকপ্টার, থার্মাল ইমেজিং এবং নাইট ভিশন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।

জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের সম্পর্কে গোপন খবর পাওয়া গিয়েছিল

সুরক্ষা এজেন্সিগুলো খবর পায় যে কুলগাম জেলার আখল গ্রামের কাছে জঙ্গলে কিছু জঙ্গি লুকিয়ে আছে। এই খবরের পর ১লা অগাস্ট তারিখে সেনা ও পুলিশ একসঙ্গে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি অভিযান শুরু করে।

জঙ্গলের এলাকাটি খুব ঘন এবং কঠিন হওয়ার কারণে সেনাবাহিনীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। জঙ্গিদের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য থার্মাল ডিভাইস ও হেলিকপ্টারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় সতর্ক আছে এবং যেকোনো বিপদের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত।

लगातार मुठभेड़ और बढ़ती चुनौतियां

বৃহস্পতিবার সকালে হওয়া সংঘর্ষে তিনজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন। এর আগে হওয়া সংঘর্ষে আরও চারজন জওয়ান আহত হয়েছিলেন, যার ফলে মোট আহত-এর সংখ্যা সাতজনে পৌঁছেছে। সেনা জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর অভিযান আরও জোরদার করে। শনিবার হওয়া ভারী গুলিবর্ষণে দুই জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। যদিও, তাদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি এবং তাদের সংগঠনের বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।

রাতে কিছু ঘণ্টার জন্য অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল, কিন্তু দিন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবার গুলিবর্ষণ শুরু হয়। সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে এই লড়াই থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

वरिष्ठ अधिकारियों ने लिया मोर्चे का जायजा

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মহানির্দেশক নলিন প্রভাত নিজে কুলগামে পৌঁছে অভিযানস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি পুলিশের উপ-মহানির্দেশক (ডিআইজি) কাশ্মীর ভি কে বিরদি এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে কৌশলগত পর্যালোচনা করেছেন এবং জওয়ানদের মনোবল বাড়িয়েছেন।

অন্যদিকে, সেনার নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মাও কুলগামে উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি 'এক্স' (পূর্বে টুইটার)-এ পোস্ট করে জওয়ানদের দায়বদ্ধতা ও সাহসের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'আমাদের বীর জওয়ানরা যে সংযম, ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে দেশের রক্ষা করছেন, তা অতুলনীয়। তাঁদের এই নিষ্ঠা কাশ্মীর-এ স্থায়ী শান্তি স্থাপনের ভিত্তি স্থাপন করছে।'

तकनीकी सहायता और अतिरिक्त बल की तैनाती

এই অভিযানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনা ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং রিমোট সেন্সিং ডিভাইসের মাধ্যমে পুরো এলাকার ওপর নজর রাখছে। ঘন জঙ্গল এবং উঁচু-নিচু এলাকায় অভিযান চালানো নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবুও তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে।

ঘটাস্থলে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়। সেনার বিশেষ ইউনিটও এই অভিযানে যোগ দিয়েছে।

স্থানীয় नागरिकों को सतर्कता की सलाह

এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন নাগরিকদের অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে এবং কোনো সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর কথা বলেছে।

সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা অভিযানে পরিণত হয়েছে কুলগাম অপারেশন

কাশ্মীর উপত্যকায় ২০২৫ সালের এই কুলগাম অপারেশনটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে পরিণত হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের অভিযান দুই বা তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু এই অপারেশনটি लगातार सात দিন ধরে চলছে। এতে স্পষ্ট যে সেনা ও পুলিশ এই মিশন নিয়ে সম্পূর্ণরূপে गंभीर এবং প্রস্তুত।

নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই অপারেশনের ফলে জঙ্গিদের ঘাঁটিগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি, এর ফলে বাকি জঙ্গিদের কাছেও একটা কড়া বার্তা যাবে যে তারা আর কোথাও নিরাপদ আশ্রয় পাবে না।

Leave a comment