লখিসরাই জেলার বড়হিয়া থানা এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে চার বছরের এক নিষ্পাপ শিশুর উপর তার নিজেরই খুড়তুতো ভাই যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ শিশুটিকে বড়হিয়ার রেফারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে এবং অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
লখিসরাই: বিহারের লখিসরাই জেলার বড়হিয়া থানা এলাকার Pachmahala গ্রামে একটি লজ্জাজনক এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। চার বছরের এক নিষ্পাপ শিশুর উপর তার খুড়তুতো ভাই অনৈতিক যৌন নির্যাতন (unnatural sex) করেছে। ঘটনার কথা প্রকাশ পাওয়ার পর শিশুটিকে বড়হিয়ার রেফারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তার চিকিৎসা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে এবং ঘটনার গভীর তদন্ত চলছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে যে ঘটনাটি গুরুতর এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুড়তুতো ভাই প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে
সূত্র অনুযায়ী, শিশুটির বাবা-মা সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। বাবা মজুরি করতে গিয়েছিলেন, আর মা ব্যাঙ্কের কাজের জন্য বাজারে গিয়েছিলেন। এই সময়ে শিশুটির খুড়তুতো ভাই তাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘটনাটি ঘটায়।
শিশুটির পরিবারের লোকেরা যখন বাড়িতে ফিরে আসেন, তখন তারা দেখেন শিশুটি ভয় ও যন্ত্রণায় কুঁকড়ে আছে। শিশুটি সমস্ত ঘটনা তার বাবা-মাকে জানায়, এরপর তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
শিশুটিকে বড়হিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
শিশুটিকে রেফারেল হাসপাতাল বড়হিয়াতে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তাররা তার শারীরিক চিকিৎসা শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি, শিশুটির মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক সুরক্ষার উপরও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট শিশুদের জন্য কাউন্সেলিং এবং পারিবারিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, যাতে শিশুটি দীর্ঘমেয়াদী মানসিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারে। এই ঘটনা সমাজে শিশুদের সুরক্ষা সম্পর্কে একটি সতর্কবাণীও বটে।
পুলিশের পদক্ষেপ এবং অভিযুক্তের খোঁজ
থানা प्रभारी জানিয়েছেন যে পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ শুরু করেছে এবং অভিযুক্তের খোঁজ জোরদার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসনও গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে আবেদন করেছে। তারা জানিয়েছে, কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখা গেলে অবিলম্বে পুলিশকে জানান, যাতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
সমাজে সুরক্ষা এবং সচেতনতার প্রয়োজন
স্থানীয় সমাজ এবং সমাজকর্মীরা ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। শিশুদের সুরক্ষার জন্য পরিবার, স্কুল এবং সমাজের সকলের সহযোগিতা জরুরি। শিশুদের একা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় এবং সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে তাদের সচেতন করা উচিত।













