উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুর জেলা থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যা এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চক कोतवाली এলাকার এক তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে জাল পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলা, ধর্ষণ করা, জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো এবং ব্ল্যাকমেল করার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত মোহাম্মদ ওরফে কাসিব পাঠান ‘শিব বর্মা’ নামে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে একটি ভুয়া আইডি তৈরি করে এবং নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। কপালে তিলক, হাতে কালো সুতো এবং দেব-দেবীর নামে মিথ্যা শপথ করে অভিযুক্ত তরুণীর বিশ্বাস অর্জন করে এবং ধীরে ধীরে বন্ধুত্বকে প্রেমে পরিণত করে। অভিযোগ, কাসিব বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সেই মুহূর্তগুলোর ভিডিও গোপনে ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে।
গর্ভবতী হওয়ার পরে চাপ দিয়ে গর্ভপাত করানো হয়
ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, যখন তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তখন অভিযুক্ত এবং তার পরিবারের সকলে—বাবা, ভাই, বোন ও মা— মিলে তার উপর গর্ভপাতের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। প্রতিবাদ করলে তরুণীকে মারধর করা হয়, যার ফলে তার গর্ভপাত ঘটে। এরপর অভিযুক্ত পরিবার তাকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে এবং রক্ষিতার মতো তাদের সঙ্গে থাকার জন্য চাপ দেয়। তিনি রাজি না হলে, তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগী একদিন অভিযুক্তের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করেন, যেখানে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। মোবাইলে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিওর পাশাপাশি আরও অনেক হিন্দু তরুণীর আপত্তিকর কন্টেন্ট পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীর দাবি, কাসিব, তার ভাই কাইফ এবং অপর এক যুবক, নিখিল (ফিরোজ ওরফে গুড্ডুর ছেলে) মিলে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং তারপর তাদের যৌন শোষণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে।
হিন্দু সংগঠনগুলির বিক্ষোভ
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর শহরে হুলস্থূল পড়ে যায়। বহু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন कोतवाली’র বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে। বিক্ষোভকারীরা এটিকে ‘লাভ জিহাদ’-এর সংগঠিত ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করে ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানায়। একই সঙ্গে, সমস্ত অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
পুলিশ তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কর্মকর্তাদের মতে, অভিযোগগুলি গুরুতর এবং সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের দাবি, কোনো দোষীকে রেহাই দেওয়া হবে না।
এই ঘটনা শুধু শাহজাহানপুরেই নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছে, আর কতদিন নিষ্পাপ মেয়েরা এমন জালে আটকা পড়বে এবং কবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত কত দ্রুত গতিতে এগোয় এবং ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পান কিনা।