বালাঘাটে শবযাত্রাকে কাদা-মাটি পেরিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভাইরাল, ক্ষোভের মুখে প্রশাসন

বালাঘাটে শবযাত্রাকে কাদা-মাটি পেরিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভাইরাল, ক্ষোভের মুখে প্রশাসন

মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার আমগাঁওতে, শবযাত্রাকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত নিয়ে যেতে ধানক্ষেত এবং কাদা পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। রাস্তা দখল এবং রাস্তা নির্মাণের অভাবের কারণে এটি অবরুদ্ধ ছিল। এই দৃশ্য পরিবারগুলিকে ব্যথিত করেছিল এবং ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।

বালাঘাট সংবাদ: মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার আমগাঁওতে, বৃহস্পতিবার তারাচাঁদ নামে এক ব্যক্তির শবযাত্রার সময় পরিবারকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। শ্মশানঘাট পর্যন্ত যাওয়ার প্রধান রাস্তাটি দখল এবং অসম্পূর্ণ সড়ক নির্মাণের কারণে বন্ধ ছিল, যার ফলে শবযাত্রাকে ধানক্ষেত এবং কাদা পেরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতি গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।

শ্মশানঘাটের রাস্তা বন্ধ, শবযাত্রা চলল মাঠ দিয়ে

বালাঘাট জেলার আমগাঁও গ্রামে একটি শবযাত্রাকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য ধানক্ষেত এবং কাদা পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। পরিবারগুলি এই অনিচ্ছাকৃত পরিস্থিতি দেখে ব্যথিত হয়েছিল এবং গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের অবহেলা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

গ্রামবাসীদের মতে, এই সমস্যা নতুন নয়। শ্মশানঘাট পর্যন্ত যাওয়ার প্রধান রাস্তাটি দখল এবং রাস্তা নির্মাণের অভাবে বছরের পর বছর ধরে অবরুদ্ধ। প্রতিবার শেষকৃত্যের সময় পরিবারগুলিকে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

দখল এবং চাষাবাদ সমস্যা বাড়িয়েছে

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শ্মশানঘাট পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি সরকারি নথিতে নথিভুক্ত আছে, কিন্তু প্রশাসন সেখানে এখন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করেনি। এদিকে, কিছু লোক সেই রাস্তা দখল করে চাষাবাদ শুরু করেছে, যার ফলে শবযাত্রার চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে কিছুদিন আগে একটি শবযাত্রাকে মাঝ রাস্তায় থামিয়ে দিতে হয়েছিল। এতে গ্রামে হইচই পড়ে যায় এবং পুলিশকে মধ্যস্থতা করতে হয়। গ্রামবাসীদের মতে, যতক্ষণ না দখল সরানো হচ্ছে এবং পাকা রাস্তা তৈরি হচ্ছে, ততক্ষণ সমস্যা থেকেই যাবে।

দুটি শ্মশানঘাট... দ্বিগুণ সমস্যা

গ্রামে দুই ধরনের শ্মশানঘাট রয়েছে: একটি নদীর ধারে, যেখানে গ্রামের বড় অংশ শেষকৃত্য সম্পন্ন করে, এবং অন্যটি তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য একটি পৃথক শ্মশানঘাট। দখল এবং অবরুদ্ধ রাস্তার কারণে বিশেষ করে এই সম্প্রদায়গুলির চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

গ্রামবাসীদের মতে, এটি কেবল সুবিধার প্রশ্ন নয়, সম্মানের বিষয়ও। শেষকৃত্যের মতো সংবেদনশীল অনুষ্ঠানে যদি শবযাত্রা মাঠ এবং কাদা পেরিয়ে যায়, তবে এটি সামাজিক বৈষম্য এবং প্রশাসনের অবহেলা উভয়কেই উন্মোচিত করে।

ভূমি মালিক এবং পঞ্চায়েত মুখোমুখি

ভূমি মালিকের দাবি, যে জমি দিয়ে রাস্তা গেছে, তা তাদের কেনা সম্পত্তি। তাদের মতে, রাস্তা অন্য কোথাও দিয়ে বের করা উচিত এবং তাদের জমিতে দখল অন্যায়।

অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতের মতে, সরকারি রেকর্ডে এই রাস্তা নথিভুক্ত আছে, কিন্তু বাজেটের অভাবে এখন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। পঞ্চায়েত আশ্বাস দিয়েছে যে শীঘ্রই একটি বৈঠক ডেকে এই বিবাদের সমাধান করা হবে।

Leave a comment