মীরা রোডে দোকানদারের উপর মারধরের ভাইরাল ভিডিওর পরে, মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে মারাঠি ভাষার সম্মান জরুরি, তবে এর নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না।
Maharashtra: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস মারাঠি ভাষার নামে চলা গুন্ডামি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। মীরা রোডে এক দোকানদারের উপর মারধরের ঘটনা সামনে আসার পরে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে মারাঠি ভাষার সম্মান জরুরি, তবে কারো উপর মারাঠি ভাষা চাপানো এবং সহিংসতা চালানো अस्वीকারযোগ্য। তিনি সতর্ক করেছেন যে আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মীরা রোডের ঘটনা থেকে বিতর্কের সূত্রপাত
মীরা রোডে একটি মিষ্টির দোকান চালানো এক দোকানদারের সাথে কিছু লোক মারধর করে, কারণ তিনি মারাঠি ভাষায় কথা বলেননি। এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দী হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনা অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS)-এর কর্মীরা দোকানে যান এবং দোকানদারকে মারাঠি ভাষায় কথা বলার নির্দেশ দেন। যখন দোকানদার এর কারণ জানতে চান এবং বলেন যে এখানে সব ভাষা বলা হয়, তখন MNS কর্মীরা তাকে মারধর শুরু করে।
ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়
ভিডিওতে দেখা গেছে যে MNS-এর সাতজন কর্মী দোকানদারকে থাপ্পড় মারছে। এই ভিডিও সামনে আসার পরেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের কঠোর অবস্থান
ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এই বিষয়ে স্পষ্ট এবং কঠোর বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, মারাঠি ভাষার সম্মান আমাদের দায়িত্ব, তবে এর মানে এই নয় যে কেউ মারাঠি না বললে তার সাথে মারধর করা হবে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বা সংগঠন মারাঠির নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেবে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যে কোনো ধরনের ভাষার নামে সহিংসতা বা চাপ সৃষ্টি করা হলে তা স্বীকার করা হবে না।
MNS-এর যুক্তি এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
MNS-এর তরফে দাবি করা হয়েছে যে দোকানদার মারাঠি ভাষার অপমান করেছেন, তাই কর্মীরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। দলটি আরও বলেছে যে তারা মারাঠি গৌরবের জন্য কাজ করে এবং কেউ মারাঠির অবমাননা সহ্য করবে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই যুক্তি সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়ে বলেছেন যে মারাঠি গৌরবের অর্থ এই নয় যে কেউ বেআইনি কাজ করবে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে মহারাষ্ট্র সব ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি রাজ্য।
আইন ভাঙলে ব্যবস্থা
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যে এই ধরনের ঘটনার উপর দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি যদি সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে, তবে সরকার তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।