মহারাষ্ট্র সরকার রেভিনিউ বিভাগের কর্মীদের জন্য ফেস অ্যাপ এবং জিও-ফেন্সিং সিস্টেমের মাধ্যমে হাজিরা বাধ্যতামূলক করেছে। যে কর্মীরা রেজিস্টার করবেন না, তারা আগস্ট মাসের বেতন পাবেন না।
মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রের রেভিনিউ বিভাগ তাদের সমস্ত কর্মীদের জন্য ফেস অ্যাপ (Face App) এবং জিও-ফেন্সিং (Geo-Fencing) সিস্টেম বাধ্যতামূলক করেছে। এর ফলে কর্মীরা অফিসের সীমানার মধ্যে থেকেই হাজিরা দিতে পারবেন। যদি কোনো কর্মী এই অ্যাপে রেজিস্টার না করেন, তবে তিনি আগস্ট মাসের বেতন পাবেন না। রাজ্যের রেভিনিউ মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলেই এই নির্দেশ দিয়েছেন এবং শীঘ্রই এ সংক্রান্ত সরকারি প্রস্তাব (Government Resolution) জারি করা হবে।
অফিসে উপস্থিতির এখন আরও নিখুঁত নজরদারি
সরকারের বক্তব্য, এই নতুন ব্যবস্থা স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা বাড়ানোর জন্য জরুরি। এর মাধ্যমে কর্মীরা সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকছেন কিনা, তা স্পষ্টভাবে রেকর্ড করা যাবে এবং জনগণের কাছে সময় মতো পরিষেবা প্রদানে কোনো ধরনের বিলম্ব বা গাফিলতি হবে না।
রায়গড়ে কাজের পর্যালোচনা করার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
মন্ত্রী বাওয়ানগুলে জানান, রায়গড় জেলায় জমি এবং অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত অফিসের কাজকর্মের পরিস্থিতি দেখার পরে এটি স্থির করা হয়েছে যে, এখন থেকে পুরো ব্যবস্থাটি প্রযুক্তি-ভিত্তিক এবং সময়োপযোগী করা হবে। যাতে সরকারি কাজ মাসের পর মাস ধরে ফেলে রাখা না হয় এবং কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনগণের সমস্যাগুলির নিষ্পত্তি করেন।
১৫০ দিনের মধ্যে সমস্ত পুরনো মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ
রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে তহসিলদার এবং জমি সংক্রান্ত রেকর্ড পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের হাতে থাকা সমস্ত পুরনো মামলা ১৫০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে, যাতে কোনও নাগরিককে ফাইলের জন্য বারবার অফিসে ঘুরতে না হয় এবং তাদের সমস্যা সময় মতো সমাধান করা যায়।
জনগণের অভিযোগের সমাধান এখন লোক আদালতের মাধ্যমে
রাজ্য সরকার এখন চায় যে সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান সচিবালয়ে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় স্তরে হয়ে যাক এবং এর জন্য লোক আদালতকে (Lok Adalat) উৎসাহিত করা হবে। লোক আদালত দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই মীমাংসার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
ডিজিটাল উপস্থিতি সরকারি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে
ফেস অ্যাপ (Face App) হল এমন একটি সিস্টেম, যা কর্মীর মুখের ছবি দেখে তার উপস্থিতি নথিভুক্ত করে। অন্যদিকে, জিও-ফেন্সিং (Geo-Fencing) নিশ্চিত করে যে কর্মী অফিসের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে রয়েছে কিনা। এর ফলে ভুল attendance দেওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় এবং অফিসে শৃঙ্খলা বজায় থাকে।