আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল না, জানালো এফএএ

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল না, জানালো এফএএ

এফএএ জানিয়েছে, আহমেদাবাদ এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার কারণ জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ ইউনিটে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল না। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে সমস্ত বোয়িং বিমান পরীক্ষা করা হয়েছে, কিন্তু কোনো ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

Air India FAA Report: আমেরিকার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। FAA-এর মতে, এই দুর্ঘটনার কারণ জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ ইউনিট (Fuel Control Unit) বা সুইচের কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। FAA-এর প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড জানান, জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ ইউনিটগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে এবং কোনো প্রকার প্রযুক্তিগত সমস্যা পাওয়া যায়নি।

কীভাবে তদন্ত করা হয়েছে

ব্রায়ান বেডফোর্ড জানান, FAA-এর প্রযুক্তি কর্মীরা জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ ইউনিটগুলোকে বিমান থেকে সরিয়ে নিয়ে সেগুলোর गहन (ইনটেনসিভ) পরীক্ষা করেছেন। পরিদর্শনের সময় কোনো ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। FAA স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তদন্তে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া যায়নি।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান

FAA-এর পক্ষ থেকে জারি করা এই বিবৃতিটি আহমেদাবাদে হওয়া দুর্ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মনে করা হচ্ছিল, সম্ভবত কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা ফুয়েল সুইচে ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন FAA এই সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছে।

বোয়িং এবং এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি

যদিও এই বিবৃতির পরেও বোয়িং এবং এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। উভয় কোম্পানির উত্তরের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। FAA-এর এই সিদ্ধান্তের ওপর তারা কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।

এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বিমানগুলো পরীক্ষা করেছে

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের পর এয়ার ইন্ডিয়া তাদের সমস্ত বোয়িং 787 এবং 737 বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ লকিং সিস্টেম পরীক্ষা করিয়েছে। কোম্পানি জানিয়েছে, সমস্ত ইউনিট পরীক্ষার সময় কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে সম্ভাব্য বিপদ থেকে বাঁচতে এই পরিদর্শন করা হয়েছিল।

AAIB-এর প্রাথমিক রিপোর্ট

ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানটি রানওয়ে থেকে টেকঅফ করার সময় দুটি ইঞ্জিনের সুইচ প্রায় একই সাথে RUN থেকে কাটঅফে চলে যায়, যার ফলে ইঞ্জিনের পাওয়ার কমে যায়। এই ঘটনাই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তদন্তের পটভূমি ও বিশ্বব্যাপী পর্যবেক্ষণ

দুর্ঘটনার পর FAA এবং ভারতের সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। FAA এবং বোয়িং জুলাই মাসের শুরুতেই ব্যক্তিগত স্তরে কিছু তদন্ত করেছিল এবং জানিয়েছিল যে ফুয়েল সুইচ লকিং ব্যবস্থা সুরক্ষিত আছে। এরপর FAA-এর পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে স্পষ্ট করা হয়েছে যে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি নেই।

বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল

এই দুর্ঘটনার পর বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিশ্বজুড়ে বোয়িং 737 এবং 787 বিমান ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। FAA-এর তদন্ত রিপোর্টের পর এখন এই আশঙ্কা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে যে এই মডেলগুলোতে কোনো সহজাত প্রযুক্তিগত সমস্যা আছে।

Leave a comment