মহারাষ্ট্রের পারভণী জেলা থেকে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে, যা পুরো এলাকাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জেলার পূর্বা তহসিলের জিরো ফাটায় এক কৃষককে তার মেয়ের স্কুলের ফি ফেরত এবং ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) চাওয়া এত ভারী হয়ে পড়েছিল যে, তাকে নিজের জীবন দিতে হল। মৃতের পরিচয় ৪২ বছর বয়সী জগন্নাথ হেংড়ে হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে, যিনি তার মেয়ের নাম স্কুল থেকে কাটার পর সংশ্লিষ্ট নথি এবং ফি নিতে স্কুলে গিয়েছিলেন।
ফি নিয়ে বিবাদই হত্যার কারণ
খবর অনুযায়ী, স্কুলে পৌঁছানোর পর হেংড়ের স্কুল পরিচালক এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে ফি ফেরত নিয়ে বচসা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বচসা এতটাই বেড়ে যায় যে, স্কুল পরিচালক দম্পতি কৃষককে বেপরোয়াভাবে মারধর করে। গুরুতর আঘাতের কারণে হেংড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত দম্পতির একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে, যার ফলে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।
হত্যার মামলা রুজু
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পূর্বা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, স্কুল পরিচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যার ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কৃষক গত কয়েক দিন ধরে ফি ফেরতের দাবি জানাচ্ছিলেন, যা স্কুল কর্তৃপক্ষকে অসন্তুষ্ট করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা সব দিক বিবেচনা করে গভীর তদন্ত করছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বীভৎস ঘটনার পর এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী এবং পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং মৃতের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে।
এই ঘটনা শুধু একজন ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যুর গল্প নয়, বরং এটি এও প্রমাণ করে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা এবং সংবেদনশীলতা কতটা জরুরি।