বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ দ্রুত বাড়ছে। বিরোধীরা ভোট চুরির অভিযোগ এনে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র মাধ্যমে জনগণকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে।
গাজিপুর: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মৎস্যমন্ত্রী এবং বিজেপি সহযোগী সঞ্জয় নিষাদের একটি बयान চর্চায় রয়েছে। গাজিপুরে বন্যা দুর্গতদের দেখতে এসে সঞ্জয় নিষাদ বলেছেন যে বিহারেও "রাবণ" উপস্থিত আছে, এবং ভগবান রাম যেমন রাবণের বিনাশ করেছিলেন, তেমনি অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত। তার এই बयान বিহারের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সঞ্জয় নিষাদ বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে এই बयान দিয়েছেন
জামনিয়া, গাজিপুরে বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পর কর্মীদের উদ্দেশে সঞ্জয় নিষাদ তার সম্প্রদায়কে একত্রিত করার বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমরা ভগবান রামের বাল সখা নিষাদ রাজের বংশধর। আমাদের 'পউয়া' অর্থাৎ পায়ের শক্তির পাশাপাশি 'পাওয়ার'ও দরকার, এবং এই পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আছে।
এর পাশাপাশি তিনি বলেন যে আগে লোকেরা 'কোভটওয়া' বা 'বিন্দওয়া' বলে ডাকত, কিন্তু এখন সবাই ' নিষাদ রাজ' বলে সম্মান দেয়। সঞ্জয় নিষাদ এও বলেছেন যে বিহারে আজ ঠিক সেই পরিস্থিতি যেমন লঙ্কায় রাবণের সময়ে ছিল, এবং রামের পথে চলে অবিচারের মোকাবিলা করা উচিত।
বিহার নির্বাচনে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে
বিহার নির্বাচন প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিরোধীরা ক্রমাগত বিজেপি এবং এনডিএ-র উপর "ভোট চুরি"র অভিযোগ আনছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব "ভোটার অধিকার যাত্রা"র মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার অভিযান চালিয়েছেন। রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন যে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৭০-৮০ আসনে ভোট চুরি করেছিল এবং এখন বিধানসভা নির্বাচনেও একই চেষ্টা করছে। তেজস্বী যাদব বলেছেন যে বিহারের জনগণ সতর্ক এবং ভোট চুরির চেষ্টা সফল হতে দেবে না।
সঞ্জয় নিষাদের बयान এই রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছে। বিরোধীরা একে বিহারের জনগণের অপমান বলে অভিহিত করছে, অন্যদিকে এনডিএ নেতারা বলছেন যে এই बयान নিষাদ সম্প্রদায়কে শক্তিশালী এবং একত্রিত করার একটি উদ্যোগ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঞ্জয় নিষাদের बयान নির্বাচনী কৌশলের অংশ। নিষাদ সম্প্রদায় উত্তর ভারতের অনেক অংশে প্রভাবশালী এবং নির্বাচনী সমীকরণে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সঞ্জয় নিষাদ তার ভাষণে একে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সাথে যুক্ত করে বলেছেন যে নিষাদ সমাজের কেবল আর্থিক নয়, রাজনৈতিক শক্তিরও প্রয়োজন।