রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে নতুন পরিস্থিতি। এডিসি চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি দিলীপকুমার শেঠ জানান, মাসে ৩০০০০ আবেদনপত্রের ভিত্তিতে ১০ হাজার আমানতকারীর টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব। AI নির্ভর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ফেরতের গতি দ্রুত হবে। বর্তমানে ওয়েবসাইট উন্নয়নের জন্য তিন মাস সময় লাগবে। আগামী শুনানি ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
এডিসি রিপোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ
আদালতের আগের নির্দেশ অনুযায়ী, সিবিআই আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী এডিসির উপর ওঠা অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। তিনি বলেন, পুরো তথ্য পেতে ফরেনসিক অডিট করা প্রয়োজন, কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার দক্ষতা সীমিত, তাই বিশেষজ্ঞ দলের প্রয়োজন। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও উদয় কুমার পর্যবেক্ষণ করেন, “AI শুধু একটি প্রযুক্তি, কিন্তু কীভাবে সব আমানতকারীর সমানভাবে টাকা ফেরত দেওয়া হবে, সে প্রক্রিয়া কি আছে?”
টাকা ফেরতের ধাপ ও পরিমাণ
এডিসি চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি দিলীপকুমার শেঠ জানিয়েছেন, সমস্ত তথ্য যাচাই করে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে। টাকা ফেরতের ধাপ অনুযায়ী, প্রতিটি আমানতকারীর টাকা দেওয়ার সময় আধার কার্ডের ভিত্তিতে একবারই প্রদান করা হবে। প্রতিটি আমানতপত্রের জন্য ১০,২০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একাধিক আমানতপত্র থাকলে প্রতিটি আলাদাভাবে গণনা করা হবে।
AI প্রযুক্তির ব্যবহার
এডিসি উল্লেখ করেছেন, AI নির্ভর প্রযুক্তি বা বিশেষজ্ঞ সংস্থা ব্যবহার না করলে ফেরতের কাজ ২০ বছরেরও বেশি সময় নেবে। কেন্দ্রের স্টক হোল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকও হয়েছে। ওয়েবসাইট উন্নত করতে তিন মাস সময় লাগবে। AI ব্যবহারে দ্রুত আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও টাকা ফেরত দেওয়ার কাজ ত্বরান্বিত হবে।
আদালতের পরবর্তী শুনানি
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০২১ সালের পর আর অডিট হয়নি। তাই মামলার পরবর্তী শুনানিতে, ১৯ সেপ্টেম্বর, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে আদালত। আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার আবেদন করেছেন।
আমানতকারীদের সতর্কতা
এডিসি ও আদালত দুই পক্ষই জানিয়েছে, প্রতিটি আমানতকারীকে নিয়মিত ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল নোটিশের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করা হবে। কেউ যাতে ভুল তথ্য না পান বা প্রতারণার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা হবে।
রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলায় টাকা ফেরতের বিষয় হাইকোর্টে ওঠে। এডিসি চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি দিলীপকুমার শেঠ জানিয়েছেন, বর্তমানে মাসে ৩০০০০ আবেদনপত্র মূল্যায়ন করে ১০ হাজার আমানতকারীর টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব। AI প্রযুক্তি ব্যবহার না করলে ফেরতের প্রক্রিয়া ২০ বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।