Health Alert: কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এলডিএল কোলেস্টেরল রক্তনালিতে প্লাক জমিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এতে হার্টকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাদ্য, নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক ওজন, পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পাঁচটি বিষয় মানলে কোলেস্টেরল বশে আনা সম্ভব।
ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাদ্য
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডায়েটে রাখুন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। মাছ, আখরোট, চিয়া সিডস, ওটস, আপেল, ডাল, ফ্ল্যাক্স সিডস ইত্যাদি খাবারে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। ওমেগা-৩ ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং এলডিএল হ্রাস করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ধরনের খাবার গ্রহণ করলে রক্তনালিতে প্লাক জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
শরীরচর্চা ও জীবনধারা
নিয়মিত শরীরচর্চা কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখে। ঘাম ঝরানো ব্যায়াম, হালকা কার্ডিও বা হাঁটা-দৌড় ইত্যাদি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি মদ্যপান ও ধূমপান এড়িয়ে চলা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা রক্তচাপ ও হার্টের স্বাস্থ্যও সুস্থ রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
সঠিক ওজন বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রয়োজনে ঘুমের দিকে নজর দিন, কারণ ঘুমের অভাব হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে ও ওজন বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের অভাব কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে পারে। ঘুমের ব্যাঘাত মানসিক অবসাদ এবং ইনসুলিনসহ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ওবেসিটি-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। সঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং নিয়মিত ঘুমের চক্র বজায় রাখা জরুরি।
ছোট ছোট জীবনধারার বদল
লিফস্টাইলে ছোট ছোট বদল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া, মানসিক চাপ কমানো এবং হালকা ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ছোট অভ্যাস পরিবর্তনই দীর্ঘমেয়াদে হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়তা করে।
Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন, বিশেষ করে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাদ্য, নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক ওজন, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই ৫ বিষয় মানলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।