মমতা কুলকার্নি দাউদ ইব্রাহিম সম্পর্কে তাঁর দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তাঁর মন্তব্য দাউদের জন্য ছিল না, বরং তাঁর প্রাক্তন স্বামী ভিকি গোস্বামীর জন্য ছিল, যিনি কোনো সন্ত্রাসী বা বোমা বিস্ফোরণমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না।
গোরখপুর: প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী এবং বর্তমানে কিন্নর আখড়ার মহোमंडলেশ্বর হওয়া মমতা কুলকার্নি ওরফে যমাই মমতা নন্দ গিরি আরও একবার খবরের শিরোনামে এসেছেন। সম্প্রতি তিনি একটি অনুষ্ঠানে তাঁর দেওয়া মন্তব্য ঘিরে ওঠা বিতর্কের বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন। মমতা জানিয়েছেন যে তিনি দাউদ ইব্রাহিমের বিষয়ে নয়, বরং তাঁর প্রাক্তন স্বামী ভিকি গোস্বামীর প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি মিডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তাঁর বক্তব্যকে ভুলভাবে তুলে ধরে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
মমতা কুলকার্নি মন্তব্যের বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন
গোরখপুরে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের সময় যখন সাংবাদিকরা মমতা কুলকার্নিকে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন তিনি বলেছিলেন, “সে সন্ত্রাসী নয়, সে কোনো বিস্ফোরণ ঘটায়নি।” এই মন্তব্যের পর মিডিয়ায় দ্রুত এই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে মমতা দাউদ ইব্রাহিমের পক্ষ নিয়েছেন।
তবে এখন তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে এই মন্তব্য দাউদের জন্য ছিল না, বরং তাঁর প্রাক্তন স্বামী ভিকি গোস্বামীর জন্য ছিল। তিনি বলেন, “আমি কেবল এতটুকু বলেছিলাম যে যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, সে দেশবিরোধী নয়, সে কোনো বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়নি। মিডিয়া আমার কথা অর্ধেক শুনে ভুল ব্যক্তির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে।”
দাউদ সংক্রান্ত প্রশ্ন ভুল বোঝা হয়েছে

মমতা কুলকার্নি ফোন এবং মেসেজের মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন যে তিনি কখনোই দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করেননি। “আমাকে দাউদ সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু আমি বলেছিলাম যে আমি দাউদকে চিনি না। আমি কেবল ভিকির সম্পর্কে বলেছিলাম যে সে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিল না। মিডিয়া এটিকে দাউদের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে ভুল অর্থ বের করেছে।”
মমতা আরও বলেছেন যে তাঁর কথাকে বিকৃত করে প্রকাশ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন সাংবাদিকতা। তিনি পুনরাবৃত্তি করেছেন যে তাঁর কথাকে সঠিক পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা উচিত।
ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ফের আলোচনা
মমতা কুলকার্নি আন্ডারওয়ার্ল্ডের কুখ্যাত মাদক পাচারকারী ভিকি গোস্বামীকে বিয়ে করেছিলেন। তবে, যখন ভিকিকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) একটি বড় মাদক মামলায় গ্রেফতার করে, তখন মমতা ভারতে ফিরে আসেন। সেই সময় তিনি তাঁর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি। পরে, আধ্যাত্মিকতার পথ অবলম্বন করে মমতা মহাকুম্ভের সময় কিন্নর আখড়ার মহোमंडলেশ্বর হয়ে ওঠেন।
মিডিয়ার কাছে সংযম বজায় রাখার আবেদন
মমতা কুলকার্নি মিডিয়ার কাছে আবেদন করেছেন যে তারা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ না ছড়ায়। তিনি বলেছেন যে তাঁর জীবন এখন আধ্যাত্মিকতার প্রতি নিবেদিত, এবং তিনি সমাজে শান্তি ও সেবার বার্তা দিতে চান।
তিনি বলেন, “আমি এখন কোনো বিতর্কের অংশ হতে চাই না। আমার কথাকে ভুল পরিপ্রেক্ষিতে তুলে ধরে আমাকে যেন বদনাম না করা হয়। আমি কেবল সত্যিটা বলতে চাই।”












