মিরাটে পথকুকুরের উপদ্রব চরমে, হাসপাতালে নেই অ্যান্টি-র‍্যাবিস সিরাম: বিপদে গুরুতর আহতরা

মিরাটে পথকুকুরের উপদ্রব চরমে, হাসপাতালে নেই অ্যান্টি-র‍্যাবিস সিরাম: বিপদে গুরুতর আহতরা
সর্বশেষ আপডেট: 10 ঘণ্টা আগে

মিরাট জেলায় পথকুকুরের উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে এবং এর পাশাপাশি সরকারি স্বাস্থ্য সুবিধার অভাবও সামনে এসেছে। পিএল শর্মা জেলা হাসপাতালে “অ্যান্টি-র‍্যাবিস সিরাম” (ARS)-এর স্টক শেষ হয়ে গেছে, যখন “অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন” (ARV) উপলব্ধ আছে।

কুকুরের কামড়ের বিপুল সংখ্যার কারণে হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বাড়ছে।

মূল বিষয়গুলি

জেলা হাসপাতালের ১৬ নম্বর কক্ষে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক কুকুরের কামড় খাওয়া ব্যক্তিদের ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।

ARV ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি নেই — চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক বি পি কৌশিক জানিয়েছেন যে এটি সামান্য ক্ষতস্থানে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ARS ইনজেকশন — যা পেট থেকে উপরের অংশে কামড় বা গুরুতর ক্ষতের জন্য ব্যবহৃত হয় — হাসপাতালে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শেষ হয়ে গিয়েছিল।

২৭ সেপ্টেম্বর ডিমান্ড ড্রাগ ওয়্যারহাউস (খরখৌদা)-কে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু ওয়্যারহাউসেও স্টক ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, একই দিনে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১:৩০টা পর্যন্ত ৮৪ জন ইনজেকশন নিতে এসেছিলেন। লোকেরা জানিয়েছেন: ক্যান্টের হনুমান মন্দিরের কাছে বাইকে যাওয়ার সময় একটি পুলিশ হাবিলদারকে কুকুর আক্রমণ করেছিল।

অন্য একজন ব্যক্তিকে ব্রহ্মপুরী এলাকায় উরুতে কামড়ানো হয়েছিল।

উদ্বেগের বিষয়

যখন গুরুতর ক্ষত সহ রোগীরা ARS পাচ্ছেন না, তখন তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। পথকুকুরের সংখ্যা এতটাই যে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক কামড়ের ঘটনা হাসপাতালে চাপ সৃষ্টি করছে। প্রশাসনের দ্বারা পথকুকুরের নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ দ্বারা প্রয়োজনীয় ইনজেকশনের সময়োচিত সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন আছে — হাসপাতাল, নগর নিগম, পশু ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

Leave a comment