ঠানের মীরা রোডে হিন্দি বলার জেরে হওয়া বিতর্কের বিরুদ্ধে মিছিল করা এমএনএস কর্মীদের পুলিশ অনুমতি না নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য আটক করেছে। ফড়নবীস বললেন- বিক্ষোভের অধিকার সবার আছে, তবে তা নিয়মের মধ্যে থেকে করতে হবে।
মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রের থানে জেলার মীরা রোড এলাকায় সোমবার ভাষা বিতর্ক নিয়ে হাঙ্গামা হয়। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-এর অনেক কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এই কর্মীরা সেই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন যেখানে একটি মিষ্টির দোকানের কর্মীকে হিন্দি ভাষায় কথা বলার জন্য মারধর করা হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য, বিক্ষোভের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি, তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুরো ঘটনা কী?
রবিবার রাতে মীরা রোডের ‘যোধপুর সুইটস’ নামক মিষ্টির দোকানে সাত জন এমএনএস কর্মী যায়। অভিযোগ, তারা দোকানদার বাবুলাল চৌধুরী এবং তাঁর কর্মচারী বাঘারামের সঙ্গে মারধর করে। কারণ ছিল, কর্মচারী গ্রাহকের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেছিলেন। কর্মীরা তাকে মারাঠি বলতে বাধ্য করে এবং যখন সে রাজি হয়নি, তখন তার উপর হামলা করা হয়।
অনুমতি ছাড়াই মিছিল
সোমবার সকালে এমএনএস কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করতে আসে। তাদের বক্তব্য ছিল, হিন্দি বলার উপর হামলা নিন্দনীয় এবং এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা জরুরি। যদিও, পুলিশ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি। কর্মকর্তাদের মতে, ট্র্যাফিক এবং জনসাধারণের শৃঙ্খলা রক্ষার কারণে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিক্ষোভের সময়, যখন কর্মীরা পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও রাস্তায় নেমে আসে, তখন পুলিশ তাদের আটক করে। কর্মীদের ভ্যানে বসিয়ে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃত কয়েকজন কর্মী বলেন, মহারাষ্ট্রে থাকতে হলে মারাঠি শিখতেই হবে। আবার, কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, যখন দোকানদারদের বিক্ষোভ করার স্বাধীনতা আছে, তাহলে তাদের কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে?
ফড়নবীসের বক্তব্য
রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যে কারও বিক্ষোভ করার অধিকার আছে, তবে আইন মানতে হবে। তিনি জানান, পুলিশ এমএনএস নেতাদের শুধু রাস্তা পরিবর্তন করতে বলেছিল, কিন্তু তারা শোনেনি। সেক্ষেত্রে জনতা এবং ট্র্যাফিকের কথা ভেবে তাদের আটকাতে হয়েছে।
ফড়নবীস বিরোধীদেরও নিশানা করেন। তিনি বলেন, “আমি মহারাষ্ট্রের স্বভাব জানি। এখানে কেউ সংকীর্ণ মানসিকতার নয়। মারাঠি সমাজের হৃদয় বিশাল। যারা এ ধরনের রাজনীতি করবে, তাদের জবাব দেবে জনতা।”