ভুট্টোর হুঁশিয়ারিতে মিঠুনের কটাক্ষ

ভুট্টোর হুঁশিয়ারিতে মিঠুনের কটাক্ষ

সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের বিলাবল ভুট্টোর সাম্প্রতিক হুঁশিয়ারি যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিল। এরই পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী ছুড়লেন রসিকতায় মোড়া কটাক্ষ—“১৪০ কোটি মানুষ প্রস্রাব করবে, তারপর সুনামি যাবে পাকিস্তানে!” বক্তব্যটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পেল্গামের ক্ষতের মাঝে নতুন উত্তেজনা

পহেলগামের সাম্প্রতিক হামলার স্মৃতি এখনও ভারতীয়দের মনে তাজা। এই আবহেই বিলাবল ভুট্টো হুমকি দিয়েছিলেন, যুদ্ধ হলে পাকিস্তান সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির নিয়ন্ত্রণ নেবে। রাজনৈতিক মহল বলছে, এই মন্তব্যের পেছনে পাকিস্তানের জলের কূটনীতির পুরনো পরিকল্পনাই কাজ করছে।

মিঠুনের রসিকতায় তীক্ষ্ণ বার্তা

দুর্গাপুরে এক অনুষ্ঠানে এসে ANI-কে মিঠুন বলেন, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই, কিন্তু নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য সহ্য করা যায় না। তাই তিনি মজা করে বলেন, যদি গুলি না চালানো হয়, তবে একটা ড্যাম বানিয়ে ১৪০ কোটি মানুষ সেখানে প্রস্রাব করবেন, আর সেটাই সুনামির মতো ভাসিয়ে দেবে পাকিস্তানকে।

পাক সেনাপ্রধানের পারমাণবিক হুঁশিয়ারি

এর আগে ফ্লোরিডায় পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দাবি করেছিলেন, যদি পাকিস্তান ধ্বংসের মুখে পড়ে, তবে তারা অর্ধেক বিশ্বকেই ধ্বংস করে দেবে। এই বক্তব্য ভারত-পাক উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। এর মাঝেই ভুট্টোর যুদ্ধজিগিরের জবাব দিলেন মিঠুন, যা তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় মিঠুন

পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে চারদিনের রাজনৈতিক সফরে রয়েছেন মিঠুন। এখান থেকে বর্ধমান, বাঁকুড়া সহ একাধিক জেলায় গিয়ে তিনি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতেই এই সফর।

গ্রামীণ এলাকায় জনপ্রিয়তার সম্ভাবনা

বিজেপির একাংশের দাবি, মিঠুনের জনপ্রিয়তা গ্রামীণ অঞ্চলে অনেক বেশি। তাই তাঁকে গ্রামে সাংগঠনিক কাজে লাগালে ভোটে লাভ হতে পারে। জেলা মিডিয়া সেলের ইনচার্জ কৌশিক মাজি বলেছেন, মিঠুনের উপস্থিতিতে সাধারণ কর্মীরা উদ্বুদ্ধ হবেন এবং ভোটের ফলাফলেও তার প্রভাব পড়বে।

তৃণমূলের কটাক্ষ

তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী অবশ্য মিঠুনের সফরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর বক্তব্য, এর আগেও কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারে এসে লাভ হয়নি, ২০২৬ সালেও বিজেপি হারবেই। রাজনীতির মাঠে এই মন্তব্য ফের এক নতুন তরজা শুরু করেছে।

Leave a comment